স্বপন পাল, দার্জিলিং : প্রতিবছর ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মানবাধিকার দিবস পালন করে আসছে।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র অনুসারে সারা বিশ্ব এই দিবসটি স্মরণ করে।
ভারতের বিভিন্ন স্থানেও এই দিনটি মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সম্প্রতিককালে মানবাধিকার শব্দটি অনেক আলোচিত হচ্ছে।
কিন্তু মানবাধিকার কি? কেন এবং এর উৎস কোথায়? এ নিয়ে আমাদের অনেকের ধারণাই নেই।
তবে কোন ধারণা থেকে বিশ্বে মানবাধিকারের উৎপত্তি হয়েছে এসব প্রশ্নের উত্তর আজ মিলেছে বিশেষ একটি আলোচনা সভায়।
দার্জিলিং-এর চৌরাস্তায় যৌথভাবে দার্জিলিং জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এবং দার্জিলিং সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করে।
সহযোগিতায় ছিল সেবাকার্য নামে দার্জিলিংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি দিনভর ম্যালের নিচে দার্জিলিং সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির অফিসে চলে।
সংস্থার সভাপতির বি. কে. দেওয়ান-এর স্বাগত ভাষণে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান।
তার ভাষণটি ছিল বিশ্ব মানবাধিকার বিষয়কে ঘিরে। তিনি তার স্বাগত ভাষণে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন মানব অধিকারের বিষয়টি।
বক্তব্য রাখেন দার্জিলিং জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ এবং প্রবীণ মানুষদের স্বাস্থ্য ও আইনি বিষয়ক পরামর্শদাতা মেডিকেল জেন্ট্রলজিস্ট।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কেনো দশই ডিসেম্বর সারা বিশ্বে পালন করা হয়?
এছাড়া প্রবীণ নাগরিকদের অধিকার এবং বিনা খরচে কিভাবে তারা আইনি সহায়তা পেতে পারে এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রত্যেক মানুষের জীবনে স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে।
প্রবীণ মানুষরা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবেন এ বিষয়টিও বিস্তারিত রূপে আলোচনা হয়।
এছাড়া বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাইবার ক্রাইম অপরাধ কিভাবে সংঘটিত হয় তা নিয়ে একটি শিক্ষামূলক আলোচনা করা হয়।
সাইবার ক্রাইম থেকে কিভাবে প্রবীণ মানুষরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সে বিষয়েও আলোচনা করেন।
স্থানীয় সাইবার ক্রাইম থানাতে দার্জিলিং-এর জজ বাজার এলাকায় অবস্থিত প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আইনি সহায়তা কেন্দ্র খোলা থাকে। দুপুর এগারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত সাইবার ক্রাইমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অভিযোগ জানাতে এবং আইনের সাহায্য নিতে পারবেন।