ব্যুরো রিপোর্ট : কংগ্রেস সহ উনত্রিশ দলের ইন্ডিয়া জোটের আসন ভাগাভাগি চব্বিশের লোকসভায় বিজেপির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার এক বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
কারন কংগ্রেসের পর তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন তার দল পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাথে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতও শুক্রবার বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে দাদরা এবং নগর হাভেলি সহ ২৩টি আসনে শিবসেনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এই দুই দলের বক্তব্যের পর আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা তৈরি করা কংগ্রেসের পক্ষে যে সহজ হবে না টা স্পষ্ট।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কংগ্রেস জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ইন্ডিয়ার ২৮টি দলের সাথে আলোচনা শুরু করবে।
দলের ১৩৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসের একদিন পর এই তথ্য সামনে এসেছে। কংগ্রেস এদিন নাগপুরে লোকসভা নির্বাচনের সূচনা করেছে।
টিএমসি প্রধান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৮ডিসেম্বর রাজ্যে একা লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
উত্তর ২৪ পরগনায় এক জনসভায় মমতা বলেছিলেন আমাদের বিজেপিকে শিক্ষা দিতে হবে, অন্য কোনও দলকে নয়।
বাংলায় তৃণমূল সরাসরি বিজেপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ইন্ডিয়া জোট দেশের সবকটি আসনে একসঙ্গে লড়বে।
আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সব দলের সঙ্গে খোলা মন নিয়ে আলোচনা করা হবে।
শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত ২৯ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আপস না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি দাবি করেন, মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দল শিবসেনা।
লোকসভা নির্বাচনে শিবসেনা দাদরা এবং নগর হাভেলি সহ ২৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং শক্তভাবে লড়াই করবে।
উদ্ধব ঠাকরে, রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী মল্লিকার্জুন খার্গ এবং কেসি ভেনুগোপালের মতো সিনিয়র নেতারা এই বিষয়ে কথা বলছেন।
শিবসেনা (ইউবিটি), এনসিপি (শারদ পাওয়ার) এবং কংগ্রেস মহারাষ্ট্রে জোটে রয়েছে। তিনটি দলই ইন্ডিয়ার অংশ।
অন্যদিকে, ১৯ ডিসেম্বর উদ্ধব গোষ্ঠীর মুখপত্র সামনার সম্পাদকীয়তে কংগ্রেসকে অহংকারী হিসাবে বর্ণনা করা হয়।
প্রবন্ধে লেখা হয় গোটা কেক নিজেই খেতে চায় কংগ্রেস। এখন ভারত জোটের একজন সারথি দরকার, এই মুহূর্তে ইন্ডিয়া জোটের রথ সারথিবিহীন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত ১৭ ডিসেম্বর বাথিন্ডায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সেখানে ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও।
জনসভা চলাকালীন কেজরিওয়াল জনগণের কাছে পাঞ্জাবের ১৩টি লোকসভা আসনের জন্য অনুরোধ করেন।
পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টির সরকার রয়েছে এবং আপ প্রধানের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে পাঞ্জাবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্ব হতে পারে।
কারন লোকসভা নির্বাচনের জন্য পাঞ্জাবের ১৩টি আসন চেয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সেখানে আম আদমি পার্টির সরকার আছে এবং দিল্লিতেও দল ক্ষমতায় রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীতেও কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোন্দল হতে পারে।
দিল্লিতে লোকসভা আসন রয়েছে ৭টি। ২০১৯ সালের নির্বাচনে সবকটি সমস্ত আসন দখল করেছিল বিজেপি।
তাই রাজধানীতে আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে আসন ভাগাভাগি সহজ হবে না। ক্ষমতায় থাকায় সব আসন পেতে চায় আপ। অন্যদিকে কংগ্রেস সর্বাধিক আসন রাখতে চায়।