সরকারকে হারাতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব
মিঠুন বড়ুয়া, মার্গেরিটা : এবার কয়লা মাফিয়ার লিস্টে নাম উঠে এল প্ৰাক্তন সেনা আধিকারিক পরশুরাম এবং তার দুই ভাই তাৰ্জেন ও সাজনের।
তাদের সঙ্গে রয়েছেন ৩নং মুলুং গ্রামের বাসিন্দা চাংলুং ল্যাংচিং।
এই চারজন মিলে কয়লার খনিতে প্রবেশ করা প্রতিটি পকলেন থেকে এন্ট্ৰীর নামে ৬০ হাজার টাকা করে আদায় করছে।
মার্গেরিটার লিডু কলিয়ারি গাঁও পঞ্চায়েতের বোমগারার চাংলুং লাংচিং-এর ঘরে বসেই পকলেন থেকে অবৈধ কয়লার এই বৃহৎ পরিমাণ টাকা আদায় করা হয়।
এই টাকা আদায় করা হচ্ছে গ্রাম উন্নয়ন সমিতি, রাস্তা মেরামতি এবং বিভিন্ন দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের নাম করে।
তবে এই টাকা আদায় করা হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশের ১নং এবং ২নং ফিনবিরো গ্রামের অবৈধ কয়লা সংগ্রহকারী পকলেন থেকে।
ফিনবিরো গ্রামের এই দুটি অংশই আসামের মানচিত্রে ছিল।
কিছু লোকের এন্ট্ৰীর টাকা আদায়ের জন্যই এই গ্রামটিকে অরুণাচল প্রদেশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
দুই রাজ্যের আধিকারিকরাও জানেন, কেবল অবৈধ টাকার লোভে একটি বৃহৎ গ্রামকে অরুণাচল প্ৰদেশে অন্তৰ্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মাৰ্চ পর্যন্ত ৪২ হাজার অবৈধ কয়লার ট্ৰাক এবং ট্ৰেলার জাতীয় সড়ক-৩১৫ দিয়ে কয়লা সরবরাহ করেছে।
এরজন্য সরকারকে হারাতে হয়েছে ৪ হাজার, দুই শত কোটি টাকার রাজস্ব।
এসব কয়লা টিপং, লেখাপানি, লিডু, বড়গোলাই, নামদাং এবং কলিয়ারি অঞ্চল থেকে তুলা হয়েছে।
কিন্ত আশ্চর্যের বিষয় হল আসামের মুখ্য মন্ত্ৰী, আসাম পুলিশ এবং আসামের বন মন্ত্ৰীর চোখে এসব অবৈধ কয়লা খনন পড়েনি।
কংগ্ৰেস সরকারের সময়েও কয়লা চুরি হয়েছিল, কিন্ত বৰ্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে দিনে-রাতে সিণ্ডিকেটের নামে চলছে কয়লা ডাকাতি।
মার্গেরিটায় চলে আসা এসব অবৈধ কয়লা খনন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) গ্রিন বাড সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক দেবজিৎ মরান।
তিনি বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রীর চোখে উত্তরপূর্বাঞ্চল কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের অধিনে চলা অবৈধ কয়লা খনন কোনও সিন্ডিকেট নয়। অথচ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার সহ কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড মার্গেরিটাকে হারাতে হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব।