মিঠুন বড়ুয়া, মার্গেরিটা : অসম-অরুনাচল সীমান্তের লেখাপানীত চলছে আসাম রাইফেলস জওয়ানদের সন্ত্রাস।
উজনি ফানেং-এ নিরীহ যুবকদের মারপিট করার পর এবার টিপং-এ নিরীহ এক মহিলা সহ যুবকদের মারপিটের ঘটনা সামনে এসেছে।
তার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা ও টিপংয়ের লোকজন আজ লেখাপানি থানা ঘেরাও করে আসাম রাইফেলস জওয়ানদের অত্যাচারের প্রতীবাদ জানিয়েছেন।
ন্যায় বিচার চেয়ে লেখাপানি থানায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা ও স্থানীয়রা।
নিরীহ মানুষের অভিযোগ তারা টিপং-এর ২৩নং আসাম রাইফেলসের সেনা ক্যাম্পের জওয়ানদের বারবার হামলার শিকার হচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, টিপং ফায়ারিং রেঞ্জ, 12 নং টিপং চালিতে কয়লার অবৈধ চোরাচালান আবারও শুরু হয়েছে।
বিধায়ক ভাস্কর শর্মার ঘনিষ্ঠ কিছু কয়লা মাফিয়া টিপং ধলাইতে গেট স্থাপন করে কয়লা পাচারের জন্য টিপং চালিতে যাওয়া পকলেন্ডের নিয়ম নীতি তৈরি করে দিয়েছে।
কয়ালা মাফিয়া চক্র টিপং চালির প্রতিটি পকলেণ্ড থেকে অবৈধ কয়লা খননের এন্ট্রি ফিজ হিসাবে ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করেছে।
এভাবে শুক্রবার রাতে টিপং-এর বাসিন্দা রিকি প্রধান নামের এক যুবক অবৈধ কয়লা উত্তোলনে পকলেন্ড প্রবেশ করতে চেয়েছিল।
কিন্তু তাঁকে প্রবেশ করতে বেশ কিছু যুবক বাধা দিলে রিকি টিপং আসাম রাইফেলস ক্যাম্পে ফোন করে জানায়।
এরপরই আসাম রাইফেলস-এর জওয়ানরা ওই যুবকদের গেটে ডেকে নিয়ে দুর্ব্যবহার করে।
এর কিছু সময় পর অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত আসাম রাইফেলসের তিন জনের একটি দল এসে অনন্ত সইকিয়া, প্রশান্ত কোঁয়র, অরূপ চাংমাই, অরুন ছেত্রি এবং বিষ্ণুকে নির্মমভাবে মারপিট করে।
সেই সঙ্গে বিষ্ণ ভৌমিজের ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রী চাবিত্ৰী ভৌমিজকেও মারপিট করে।
এরপর তারা টিপং ধলাই-এর রাস্তায় গিয়ে বেশ কিছু লোককে মারপিট করে।
যার ফলে আজ কয়েকশত লোক লেখাপানী থানা ঘেরাও করেন এবং ন্যায় বিচার চেয়ে ২৩ নং আসাম রাইফেলসের টিপং শিবিরের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেন। জানাগেছে, অবৈধ কয়লা মাফিয়া রিকি প্রধান কিছুদিন আগে সেনাবাহিনী NACN-এর যে রাম প্রধানকে গ্রেফতার করেছিল তার ছেলে।