অনিমেষ চক্রবর্তী : বড়খলায় রেশন কার্ড বিতরণী সভায় এসে বুধবার সরকারের এই উদ্যোগকে ঐতিহাসিক দাবি করলেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া।
মন্ত্রী জানান, রাজ্যে দশ লক্ষের বেশি রেশন কার্ডের নতূন হিতাধিকারী চয়ন করা হয়েছে, আগামী দিনে এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
বড়খলায় নতুন হিতাধিকারী ২৯,২১৯ জন, রেশন কার্ডের সংখ্যা ৮২০৮।
এএওয়াই কার্ডে হিতাধিকারী মাসে পাবেন ৩৫কিলো এবং পিএইচএইচ কার্ডে হিতাধিকারী মাসে পাবেন মাথাপিছু ৫কিলো চাউল।
মন্ত্রী আরোও বলেন, কোন কারনে রেশন কার্ডে ভুল থাকলে অফিসের মাধ্যমে সংশোধন করা যাবে।
তিনি বলেন, বিজেপি পুনরায় শাসনে আসলে উন্নয়নের মাত্রা দ্বিগুণ হবে।
সরকার জনগনের প্রয়োজনের কথা মাথায়রেখে প্রকৃত হিতাধিকারীর হাতে রেশন কার্ড পৌঁছে দেবার সংকল্প নিয়েছে।
শিলচরের সাংসদ ড০ রাজদ্বীপ রায় বলেন, রেশন কার্ড শুধুমাত্র বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্প আয়ূস্মান কার্ডের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
এতে রয়েছে ৫লক্ষ টাকার বিনামূল্যের স্বাস্থ্য সেবা।
কাছাড় জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গৃহীত জনস্বার্থ মূলক প্রকল্পের সুফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিজেপি আসাম প্রদেশ কমিটির সম্পাদক কণাদ পুরকায়স্থ, জেলা আয়ুক্ত রোহণ কুমারঝাঁ। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পাঁচজন হিতাধিকারীর হাতে নতূন রেশন কার্ড তুলে দেন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী জয়ন্তমল্ল বরুয়া।