কালাইন বনবিভাগ-বিজেপি নেতা গাড়ী প্রতি আদায় করছেন ছয় থেকে সাত হাজার টাকা!
হিবজুর রহমান বরভুইয়ার প্রতিবেদন : কয়লা, লাইম স্টোন এবং বার্মিজ সুপারির পর এবার বরাকে সক্রিয় ঝামা পাথর সিন্ডিকেট চক্র।
বড়াইল পাহাড়ের ইকো সেনসিটিভ জোন থেকে জেসিবি লাগিয়ে অবৈধভাবে পাহাড় খনন করে এসব ঝামা পাথর পাচার হচ্ছে বহিরাজ্য মেঘালয়ে।
বিহাড়া দীননাথপুর গ্রান্টের গ্রামীণ সড়ককে করিডোর করে চলছে ঝামা পাথর পাচার।
ঝামা পাথরকে গ্রামীণ ভাষায় কাকড়া পাথর বলা হয়।
কালাইন বনবিভাগকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ ঝামা পাথরের সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছেন প্রাক্তন বিজেপি কালাইন মন্ডল সভাপতি বিপ্লব কান্তি পাল।
এর আগে বিপ্লবে লাইমস্টোন সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ ছিল। প্রতি গাড়ি প্রতি থেকে তিন হাজার টাকা আদায় করতেন তিনি।
কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব অভিযোগ ধামাচাপা দেন লাইমস্টোন সিন্ডিকেটের মাস্টারমাইন্ড ওই বিজেপি নেতা।
এবার ফের আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে বিপ্লব কান্তি পালের ঝামা পাথর সিন্ডিকেট চক্র।
কালাইন বনবিভাগের রেঞ্জার পঙ্কজ কলিতাকে মেনেজ করে প্রতিদিন রাতে প্রচুর সংখ্যক অবৈধ ঝামা পাথরের গাড়ি পাচার হচ্ছে মেঘালয়ে।
জানা গেছে গাড়ি প্রতি ছয় থেকে সাত হাজার টাকা সংগ্রহ করছে এই সিন্ডিকেট চক্র।
বিপ্লব এসব টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়েছেন কালাইন বাজারের দৃষ্টি সুইটসের স্বত্বাধিকারী ধীরাজ দাসকে।
অবৈধ উপায়ে খোদাই করে এসব ঝামা পাথর বহিরাজ্যে পাচার করার ফলে ধ্বংসের মুখে পড়ছে বড়াইল পাহাড়ের ইকো সেনসিটিভ এলাকা।
যার ফলে ভারসামতা হারাচ্ছে প্রকৃতি।
এছাড়াও বিহাড়া দীননাথপুর গ্রান্ট এলাকার গ্রামীণ সড়ক হয়ে বিশাল বিশাল ডাম্পারে করে এসব পাথর পাচারের ফলে প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীরা একাধিকবার এসব সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও কোন লাভ হয়নি। এবার দেখার ব্যাপার হলো এই ঝামা পাথর সিন্ডিকেট চালানোর খবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রশাসন শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।