গণআওয়াজ, ধলাই : বিএসএফ মহিলা প্রেমিকার প্রেমে প্রতারীত হয়ে আত্মঘাতী হলেন এক বিএসএফ জওয়ান।
এই ঘটনা ধলাইর পুটিখাল গ্রামের।
গত বিশ জানুয়ারি রাতে ৬৬৩ নং দক্ষিন পুটিখাল এলপি স্কুলের কাছে থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বিএসএফ জওয়ান সুরোজ কৈরিকে।
উল্লেখ্য পুটিখাল গ্রামের নন্দলাল কৈরির পুত্র সুরোজ কৈরি বিএসএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন ত্রিপুরার বাঘমা জেলার ১৫৬নং বিএসএফ ইউনিটে।
পুত্রের এই আত্মহত্যার জন্য ত্রিপুরা উনকোটি জেলার কৈলাশহরের মূর্তিছড়া গ্রামের হীরালাল কৈরির কন্যা মৌসমিকে অভিযুক্ত করে সুরোজের মা শনিবার ধলাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিন তিনি বলেন ত্রিপুরার বাঘমা জেলার বিএসএফের ১০৯নং ব্যটেলিয়ন ক্যাম্পে মহিলা জওয়ান হিসেবে কর্মরত মৌসমি কৈরি।
প্রায় বছর খানেক ধরে মৌসমি ও সুরোজের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রেমের প্যাঁচে পড়ে প্রতিমাসে বেতনের অধিকাংশ অর্থ খরচ করে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন সুরোজ।
কিন্তু সুরোজ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করে মৌসমি।
এতে প্রচন্ড মানসিক ও শারিরীক ভাবে ভেঙে পড়ে সুরোজ।
প্রেমিকার কাছে প্রত্যাখ্যায়িত হয়ে প্রায় তিন মাস আগে সুরোজ একটি চাকু দিয়ে নিজের শরীরে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
এ সময় তাকে আগরতলার জিবি হাসপাতালে ভর্তি করে সুস্থ করে তোলা হয়।
এরপর সে ফের তার কর্মস্থলে যোগ দেয়। চার জানুয়ারি ছুটি নিয়ে ত্রিপুরা থেকে পুটিখালের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় সুরোজ।
কিন্তু এরপর থেকে পরিবারের লোকেরা মোবাইলে তার সঙ্গে আর কোন যোগাযোগ করতে পারেন নি।
বিশ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পুটিখালের একটি স্থানে আচমকা তাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে সুরোজকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলেও ২১ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
মা গায়েত্রি জানিয়েছেন, বিষপানে তার পুত্রের মৃত্যু হয়েছে।
মিথ্যা প্রেমের নাটক করে পুত্রের জীবন শেষ করে দিয়েছে মৌসমি কৈরি। ঘটনাটির পুঙখানুপুঙখু তদন্ত করে মৌসমি কৈরিকে অতিসত্তর গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সুরোজে মা গায়েত্রি কৈরি।