প্রশ্ন উঠছে, কার নির্দেশে পেল এত সাহস?
মিঠুন বড়ুয়ার প্ৰতিবেদন, গণআওয়াজ মার্গেরিটা : ন্যায়াধীশের নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে লিডুতে মাফিয়ারা চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা কয়লা পাচার।
কয়লা চোরদের গাড়ি ঘুম কেড়ে নিয়েছে লিডুর সাধারণ মানুষের। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর কয়লা চোরদের গাড়ি লিডু এলাকায় দুর্ঘটনা সংঘটিত করার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে অনেকবারই দুর্ঘটনা সংঘটিত করেছে।
এবার কয়লা চোররা দম্ভ দেখিয়ে দিনেরবেলা দ্রুতগতিতে বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে চালিয়ে যাওয়া গাড়ীর দৃশ্য ক্যামেরাবন্ধী করেছেন সাহসী সাংবাদিক।
ঐতিহাসিক লিডু শহরের মাঝখানে থাকা “সিস্টার নিবেদিতা হাইস্কুলের” লোহার গেট, বিশ্রামাগার এবং স্কুলের দেয়াল কয়লা চোরদের গাড়ি বেশ কয়েকবার ভেঙে চুরমার করেছে।
এই বিদ্যালয়টি লিডুর ঝর্ণা বস্তি সংযোগকারী রাস্তার পাশেই অবস্থিত। যেখানে সকাল এবং বিকেলে ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় থাকে।
এই সময়েও অনেক কয়লার গাড়ীর চালক মদ পান করে বিনা দ্বিধায় গাড়ী নিয়ে যাওয়া-আসা করছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কয়লা মাফিয়াদের যানবাহন চলাচলে বাধা দিলে তৰ্কযুদ্ধ শুরু হয়।
অবশেষে ন্যায়ধিশ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় এক নির্দেশ জারী করে সকাল ৬ ঘটিকা থেকে দুপুর ২ ঘটিকা পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
কিন্তু এই অধিসুচনাকে অবমাননা করে কয়লা খনিতে ব্যবহৃত যানবাহন দিনরাত যাতায়াত করছে। লিডু থানা থেকে মাত্র দুইশত মিটার দূরে কার আশীর্বাদে কয়লা চোররা ন্যায়াধীশের নির্দেশ অমান্য করে কয়লার গাড়ী চালানোর সাহস পেল? জনমনে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।