অনলাইন ডেক্স, গণআওয়াজ : ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রার অংশ হিসাবে থানে এক সভায় নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের সমালোচনা করে রাহুল এই মন্তব্য করেন।
কংগ্রেসের এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, এই বন্ড রাজনৈতিক দলগুলিকে অস্থিতিশীল এবং বিরোধী সরকারগুলিকে উৎখাত করতে ব্যবহার করা হয়েছিল।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কংগ্রেসের রাজ্য সরকারের সঙ্গে নির্বাচনী বন্ডের প্রদত্ত চুক্তিগুলির মধ্যে কোনও যোগসূত্র নেই।
এই ইলেক্টোরাল বন্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাঁদাবাজির র্যাকেট, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে বিভক্ত করতে এবং বিরোধী সরকারের পতনের জন্য নির্বাচনী বন্ড থেকে তহবিল এসেছে।
রাহুল গান্ধী বিজেপি বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই এবং নির্বাচন কমিশনের মতো সংস্থাগুলিকে ‘অস্ত্র’ হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগও করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি সরকার পরিবর্তন হলে এই ধরনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গান্ধী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ইডি, ভারতের নির্বাচন কমিশন এবং সিবিআই এখন দেশের প্রতিষ্ঠান নয়, বিজেপি-আরএসএসের অস্ত্র।
তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের কাজ করলে এই বৃহৎ চাঁদাবাজি হতনা।
বিজেপিরও এই বিষয়ে চিন্তা করা উচিত যখন বিজেপি সরকার বদলাবে, তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের একটি বিশেষ তদন্ত করার দাবী করে বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি জব্দ করার দাবি জানিয়েছেন।
খাড়গে সন্দেহজনক দাতাদের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজেপির দাবির সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা, কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্ট প্রকাশ করেছে বিজেপি নির্বাচনী বন্ড থেকে কিভাবে অর্থ উপার্জন করেছে।
এসবিআই ডেটা দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপি ৫০ শতাংশ অনুদান পেয়েছে এবং কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে।