নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : বড়খলার কালিনগর দ্বিতীয় খণ্ড বাদ্রিপারে শিবমন্দিরের ঈশান দিলেন যুব প্রজন্মের শিল্পপতি বিপ্লব দাস।
তারাপুর শিববাড়ী রোডের রবিন্দ্র সরণির বাসিন্দা যুব প্রজন্মের এই শিল্পপতি বিপ্লব দাস ডলু কালিনগরে একটি ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছেন, মে মাস থেকেই প্রডাকশন শুরু হবে জানিয়েছেন বিপ্লব।
এই সুত্রে স্থানীয়দের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে এবং আজ সহনশীল বিপ্লব নিজে উপস্থিত থেকে বাদ্রিপারের শিবমন্দিরের ঈশান দেন।
পরে তিনি গণআওয়াজকে জানান, সমাজসেবামূলক কাজ করা তাঁর দীর্ঘ দিনের একটা স্বপ্ন ছিল।
এই উদ্দেশ্য নিয়ে জেলার প্রত্যান্ত এলাকা বড়খলার ডলু কালিনগরে ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এখানে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ জন লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং স্থানীয় বেকারদের নিয়োগ দেওয়া হবে জানান তিনি।
বিপ্লব বলেন, যেহেতু শিলচর থেকে গিয়ে বড়খলা এলাকার ডলুতে ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন করছেন, এখন থেকে তিনি বড়খলারও বাসিন্দা।
তাই বড়খলার মানুষের সুখে-দুঃখে এবং উন্নয়নে সব সময় পাশে থাকবেন।
রাস্তাঘাট, বিশুদ্ধ পানীয় জল সহ যে কোন সমস্যার সমাধানে জনগণের সঙ্গে মিলে সমাধানের প্রচেষ্টা চালাবেন।
কালিনগর দ্বিতীয়খণ্ড বাদ্রিপারের জনগণ জানান, এই শিবমন্দির প্রায় সত্তর বছর আগে লাবন্যবালা দাস নামের স্থানীয় একজন মহিলা স্থাপন করেছিলেন।
কিন্তু আজ পর্যন্ত মন্দিরটি এই একইভাবে রয়েছে, কেউই মন্দিরের উন্নয়নে এগিয়ে আসেননি।
সরকার মন্দিরের উন্নয়নে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেও বাদ্রিপারের এই শিব মন্দিরের উন্নয়নে কোন অনুদান আসেনি।
বিধায়ক মিসবাহুলের কাছে মন্দিরের উন্নয়নে বারবার দাবী জানালেও তিনি কোন গুরুত্ব দেননি।
তবে এখন শিল্পপতি বিপ্লব দাস এবং সমাজসেবী মান্না দাস মন্দিরের উন্নয়নে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
বিপ্লব প্রথমে বলেছিলেন মন্দিরে রড যতটুকু লাগবে দেবেন এবং মান্না দাস বলেছিলেন বালি দেবেন তিনি।
কিন্তু আজ বিপ্লব বলেছেন, তিনি শিবমন্দিরের জন্য দুলক্ষ টাকা দেবেন, এছাড়াও ইট বা অন্যান্য সামগ্রী নিজের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে এনে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
এদিকে মন্দিরের পেছনে থাকা জাটিঙ্গা নদীর পার ভেঙ্গে প্রায় মন্দিরের পাশে চলে এসেছে। এব্যাপারেও বিপ্লব বিভাগীয় আধিকারিক এবং সরকারের দ্বারস্থ হয়ে প্রটেকশনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন জানান।
বিপ্লবের এই উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এলাকার মানুষ।