আব্দুর রহমান, বিনোদিনী বাজার : লোকসভা নির্বাচনের পর আজমলের হাইলাকান্দি জেলার দুইজন বিধায়ক এজিপিতে যোগ দেবেন।
এই দাবী দক্ষিণ করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক সিদ্দেক আহমদের।
সিদ্দেক গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস মনোনয়নে বিধায়ক নির্বাচিত হন। এর আগেও তিনি কংগ্রেস থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন।
কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি করিমগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালাকে জেতাতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন।
কংগ্রেস প্রার্থী হাফিজ রসিদ আহমেদ চৌধুরী জনগণের কোন কাজ করেননি, শুধু নির্বাচন আসলেই তাকে দেখতে পাওয়া যায় এমনও মন্তব্য করেন সিদ্দেক।
এমনকি হাফিজ রসিদ আহমেদ চৌধুরী জিবনেও রাজনীতিতে জয়ী হবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সিদ্দেক আরও বলেন, আজমল বরাক সফরে আসলেও কোনো লাভ হবেনা, কারণ লোকসভা নির্বাচনের পর হাইলাকান্দীর দুই বিধায়ক এআইইউডিএফ ছেড়ে এজিপিতে যোগ দেবেন।
করিমগঞ্জ লোকসভা আসনে এবার সংখ্যালঘু ভোট তিন ভাগে বিভক্ত হবে বলেন তিনি। এরমধ্যে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ পড়বে বিজেপির ঝুলিতে।
রাজ্যর প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমেদ বলেন করিমগঞ্জ আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালাহ ন্যূনতম ১লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন।
মঙ্গলবার মইনা বাজারে অচিন্ত চৌধুরীর পৌরহিত্যে আয়োজিত সভায় সিদ্দেক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ এনে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন।
বান্দরকোনা ও মইনা জিপির কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল বাছিত এবং সামিম আহমেদ তাপাদার সিদ্দেকের প্রতি আস্তা প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, সিদ্দেক যে দলে যাবেন তারাও সেই দলের হয়ে কাজ করবেন। উচ্ছেদ ইস্যুতেও প্রাক্তন মন্ত্রী বিগত দিনের কংগ্রেস সরকারকেই দায়ী করেন।
তার দাবী কংগ্রেস সরকার ভূমিহীনদের পাট্টা দিলে আজকে সংখ্যালঘুরা উচ্ছেদের মত নির্মম পরিণতির মুখে পড়তে হত না।
কংগ্রেস সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করেছিল বলে অভিযোগ করেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমদ।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ চারশোর অধিক আসনে জয়ী হয়ে পুনরায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। ‘উন্নয়ন ইস্যুতে সিদ্দেক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।