হাইলাকান্দির প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : হাইলাকান্দির এআইইউডিএফ দলের তিন বিধায়ককে এভাবেই আক্রমণ করলেন অসম জাতীয় পরিষদের নেতা আইনজীবী মুক্তার হোসেন চৌধুরী।
শুধু তাই নয়, মুক্তার এই তিন বিধায়ককে দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা বুঝিয়ে দেওয়ার ওপেন চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন।
হাইলাকান্দিতে আজ বিরোধী জোটের সাংবাদিক সম্মেলনে আইনজীবী মুক্তার এআইইউডিএফ দলের তিন বিধায়ককে সংবিধানের প্রস্তাবনা বুঝিয়ে দেওয়ার এই চ্যালেঞ্জ জানান।
মুক্তার দলের পক্ষ থেকে করিমগঞ্জ লোকসভার বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ মালাকেও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে দেন।
করলেন AJP নেতা আইনজীবী মুক্তার হোসেন চৌধুরী ।
তিনি বলেন, সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী কৃপানাথ পাঁচ বছরে কতদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন এবং কতদিন অনুপস্থিত ছিলেন?
বিগত পাঁচ বছরে সংসদে তিনি কতটি লিখিত প্রশ্ন করেছেন এবং কি কি বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন?
প্রশ্নের নম্বর সহ বিস্তারিত জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানান মুক্তার।
এছাড়াও এজেপি নেতা মুক্তার বিগত পাঁচ বছরের সাংসদ উন্নয়ন তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।
তিনি জানতে চান, সাংসদ গত পাঁচ বছরে তার এলাকা উন্নয়নে কত টাকা পেয়েছেন ও কোন খাতে কত টাকা? ব্যয় করেছেন।
অসমের প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড আটকে রাখা হয়েছে, এরমধ্যে করিমগঞ্জ লোকসভার অনেক মানুষ রয়েছেন যারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
১৯ লাখ মানুষ চূড়ান্ত এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন, এরমধ্যে করিমগঞ্জ লোকসভা এলাকার বহু লোক রয়েছেন, এনিয়ে কৃপানাথের ভূমিকা কি? প্রশ্ন করেন তিনি।
কৃপানাথ সংসদ থাকা অবস্থায় করিমগঞ্জ লোকসভার দুটি বিধানসভা বিলুপ্ত হয়েছে, পাঁচগ্ৰাম ও বদরপুর দুটি শহর কাছাড় জেলার সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে তিনি কি ভূমিকা পালন করেছেন? বরাকের চা শ্রমিকদের মজুরি রাজ্যের অন্যান্য জেলার অতি নূন্যতম, অথচ এব্যাপারে আপনার ভূমিকা নীরব কেন?
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ আলী হায়দর, গুয়াহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী আবু ইউসুফ চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। সবাই হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরীকে দক্ষ, উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে অভিমত প্রকাশ করেন।