জুলি দাস, করিমগঞ্জ : দ্বিতীয় পর্যায়ের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে আর মাত্র একদিন বাকি, আগামী ২৬ এপ্রিল করিমগঞ্জ আসনে দ্বিতীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ হবে।
কিন্তু নির্বাচনী উত্তাপ থেকে একেবারে নিস্তেজ ভারত-বাংলা সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রাম, কে কোন দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন, সেটাও জানেন না গ্রামের অনেকে।
তবুও অধিকার হিসেবে ভোট দান করবেন গ্রামের পুরুষ এবং মহিলারা।
সুতারকান্দির পাশে রয়েছে গোবিন্দপুর গ্রাম, এই পুরো গ্রামটা কাঁটাতারের বাইরে পড়েছে।
গ্রামের প্রায় সবাই দিনমজুর। তবে এর মধ্যে যারা একটু স্বচ্ছল তারা অন্যত্র জায়গা ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করে চলে গেছেন।
গোবিন্দপুর গ্রামে মোট ৪২টি পরিবার বসবাস করেন, এরমধ্যে ৪০ পরিবার হিন্দু এবং মাত্র দুটি পরিবার মুসলমান।
৪২টি পরিবারের সদস্য সংখ্যা ২১১ এবং ভোটার ১৪৫ জন।
নির্বাচনের সময় চারিদিকে যখন হুলুস্থুল পরিবেশ, তখন ভোট নিয়ে একেবারে নিস্তেজ কাঁটাতারের বাইরে থাকা গোবিন্দপুর গ্রাম।
গ্রামের শিবু নমঃশূদ্র বলেছেন, ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের কেউ আসেননি তাদের গ্রামে।
একমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং কর্মীরা আসেন।
তবুও অধিকার হিসেবে তাদেরকে ভোট দিতে হয়। এবারও ভোট দান করবেন গ্রামের ১৪৫ জন ভোটার।
জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রাম কাঁটাতারের বাইরে থাকলেও এই গ্রামের ভোটারদের ভোট এসে দিতে হয় পাশের কুরিখালা গ্রামে।
কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের নজরদারিতে কাঁটাতারের গেট অতিক্রম করে কুরিখালা গন্ধক বিদ্যালয়ে থাকা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন গোবিন্দপুর গ্রামের জনগণ।
তবে ভোট নিয়ে গ্রামের জনগণের তেমন আগ্রহ চোখে পড়েনি, কারন পুরো গ্রামে নির্বাচনের একটি মাত্র ফেস্টুন দেখা গেছে।
গ্রামের শিবু নমঃশূদ্র এবং অনিল নমঃশূদ্র এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, ভারতে থাকলেও তারা ভারতের স্বাদ পাচ্ছেন না।
কাঁটাতারের বাইরে কার্যত বন্দি জীবন যাপন করতে হচ্ছে, শিয়াল, কুকুরের মতো থাকতে হচ্ছে তাদের।
সরকার যাতে এর থেকে মুক্তি দিয়ে তাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেয়, এই কাতর আবেদন জানান তারা। তবে বিএসএফ গ্রামের জনগণকে সবসময় সাহায্য, সহযোগিতা করে বলে তারা জানান।