নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : দলীয় প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্যকে জেতাতে প্রচারে দিল্লী থেকে উড়ে আসতে হল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত সাহকে।
আসলে বিজেপি যে উন্নয়নের শ্লোগান তুলেছিল, তা বুমেরাং হয়ে বেরিয়ে আসছে খুদ মন্ত্রী পরিমলের বিধানসভা সমষ্টি থেকেই।
বঞ্চনার অভিযোগ তুলে একের পর এক গ্রামের ভোটাররা ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে শাসক দলের।
তাই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে বার বার আসতে হচ্ছে শিলচরে।
কারন পরিমলের জয়-পরাজয়ের উপর নির্ভর করছে তাঁরও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
আগামীতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন কি না তাও নির্ভর করছে এই লোকসভা নির্বাচনের উপর।
এছাড়া তার নিজের বিভিন্ন কাজকর্মও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে আসামের মুখ্যমন্ত্রিকে।
বরাককে করিডোর করে চলে আসা কয়লা, সার, বার্মিজ সুপারির মত বিভিন্ন সিণ্ডিকেট যে গুলো সরাসরি দেশের আর্থিক এবং সামাজিকতার উপর প্রভাব ফেলছে তা বন্ধ করতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
বিভিন্ন মামলায় জড়িত হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিজেপি দলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এই দলের ভিতরে নতুন-পুরাতনের বিরোধ চরম আকার নিয়েছে।
বিজেপিতে অস্থিত্ব জাহির করতে কংগ্রেসের দাগী দুর্নীতিগ্রস্থদের দলে টেনে এনে পুরনো কর্মীদের কোনঠাঁসা করে রাখার পরিকল্পনা জারী রেখেছেন হিমন্ত।
বিজেপির পকেট ভোট হিন্দু বাঙালিদের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের বিরুদ্ধে।
ভাষা আগ্রাসনের মাধ্যমে বরাক-ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সৌভ্রাতৃত্ববোধের মধ্যে বিবেধ সৃষ্টি করার অভিযোগ রয়েছে।
গত দুর্গাপূজায় হিন্দু বাঙালিদের পুজো মণ্ডপে বাংলা ভাষায় ব্যানার লাগানোয় অসমীয়া ভাষার জিগির তুলে দুষ্কৃতকারীরা মণ্ডপে মণ্ডপে ভাংচুর চালালেও আজ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে ডিলিমিটেশনের নামে বরাক উপত্যকার প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বৈষম্য এই উপত্যকার বিজেপির ভোটে ফাটল ধরেছে।
এছাড়াও বিজেপির মন্ত্রী-বিধায়কের অত্যধিক সংখ্যালঘু তোষণে বিজেপির হিন্দু ভোটাররা দিশেহারা।
তাই মুখ্যমন্ত্রীকে বার বার ছুটে আসতে হয়েছে মলম লাগাতে।
হিন্দু ভোটারদের পকেটে রাখতে তোলা হচ্ছে হিন্দুত্বের জিগির, আর মুসলিম ভোটারদের কাছে টানতে দেওয়া হচ্ছে প্রতিশ্রুতির ফুলজুরি।
আসলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে রাখতে যে কোন ছলনার আশ্রয় নিতেও পিছ পা নন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তবে, আগামী ২৬ এপ্রিল ভোটাররা কি রায় দেন সে দিকেই দৃষ্টি রয়েছে সচেতন মহলের।