জুলি দাস
করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জ শহরে রান্নার গ্যাস প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়েছে হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্স লিমিটেড।
৫১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সাংবাদিকদের এই সুসংবাদ দিলেন করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্সের পরিচালন সমিতির সদস্য সতু রায়।
এছাড়া আগামী অল্প কয়েকদিনের মধ্যে করিমগঞ্জে মিনি পেট্রোল পাম্প-এর কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্সের চেয়ারম্যান সুব্রত দেব সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সবার প্রচেষ্টায় অসমের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছে করিমগঞ্জ সহচরী।
তিনি আগামী দিনেও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
আজ থেকে ৫০ বছর আগে যারা কো-অপারেটিভ সোসাইটি গঠন করেছিলেন তাদের স্মরণ করে উত্থান পতনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
সতু রায় বলেন, সমিতির ৫০ বছরে যে শিক্ষা পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে ভালো কাজ হাতে নিলে প্রতিবন্ধকতা থাকবেই, এসব অতিক্রম করে এগিয়ে চলাই একমাত্র প্রতুত্তর।
তিনি বলেন, ২০১১ সালে সুব্রত দেব দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিবন্ধকতা আসে, কিন্তু তিনি মেরুদন্ড সোজা করে বলেছিলেন, ‘কিছু হয়নি আমরা এগিয়ে যাব।’
সতু বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে একাংশ শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব করিমগঞ্জে সমবায় গড়ার উদ্যোগ নেন।
স্বপ্ন দেখেছিলেন তাদের হাতে গঠন করা সমবায় অদূর ভবিষ্যতে মহীরূহ হয়ে উঠবে, সেই সময় তাদের সামনেও প্রতিবন্ধকতা-বাধা-বিপত্তি ছিল।
কিন্তু এসব অতিক্রম করে সমবায় প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন, ২০১১ সালে করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্সের দায়িত্ব নেন সুব্রত দেব।
এর আগেও অনেকে এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তারা চেষ্টা করেছিলেন সমবায় প্রতিষ্ঠানকে ভালো করে গড়ে তুলার।
তবে সুব্রত দেবের কার্যকাল ছিল এক গৌরবময় অধ্যায় বলেন সতু রায়। তিনি মেরুদন্ড সোজা করে পরিচালন সমিতি এবং কর্মচারীদের নিয়ে এগিয়ে যান।
সতু রায় আরো বলেন, কোভিড-এর ধাক্কায় সহচরীর আয় তলানিতে গিয়ে পৌঁছে, কিন্তু অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে সুদৃঢ় করতে নিত্যনতুন পরিকল্পনা নেন চেয়ারম্যান।
এছাড়া ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডে নথি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার পর ভাবা হয়েছিল হয়তো আর পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে না, কিন্তু চেয়ারম্যান পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে সমর্থ হয়েছেন।
রাজ্যিক এবং জাতীয়স্তরে পুরস্কারও মিলেছে, তেল কোম্পানির তেল বিক্রি করে স্বর্ণ মুদ্রা লাভ করেছে।
গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত সমবায় মেলায় নিজস্ব তৈরি বাল্ব বিক্রি করেছিল করিমগঞ্জ সমবায় সমিতি।
তা দেখে উচ্ছসিত প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিভাগীয় মন্ত্রী।
সুব্রত দেবের কার্যকালে একের পর এক সাফল্যের মুখ দেখছে করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্স।
তিনি জানান, বোর্ড মিটিংয়ে মিনি পেট্রোল পাম্প গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কাজের ছাড়পত্র মিলেছে।
অল্প কয়েকদিনের মধ্যে মিনি পেট্রোল পাম্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ডিরেক্টর অলোক রায়, অজয় ভট্টাচার্য, অনামিকা নাথ, রত্না পাল, হোলসেল কো-অপারেটিভ স্টোর্সের ভারপ্রাপ্ত সচিব বিশাল দাস, কার্যালয় সুপার দেবরাজ দাস।