প্রীতম নাথ, গণআওয়াজ ধলাই : ধলাই থানার চান্নিঘাট, হাওয়াইথাং, ফ্রেঞ্চনগর, খুলিছড়া, সিংগুয়া এলাকায় মদ্যপদের দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন স্থানীয় জনগণ।
সাধারণ মানুষকে রাস্তাঘাটে হাঁটাচলা এমনকি নিজের বাড়িতে থাকতেও আতঙ্ক তাড়া করছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায়ও ব্যাঘাত ঘটছে।
হাওয়াইথাং বাজার সহ আশপাশ এলাকায় অসংখ্য সুলাই মদের ট্যাগ রয়েছে।
লায়লাপুর পেট্রোল পোস্টের পুলিশের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চলতে থাকলেও ভূমিকা হতাশাজনক। মদ্যপদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জানালে উল্টে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে এমন একটি ঘটনার সাক্ষী রইলেন ফ্রেঞ্চনগর এলাকার জনগণ।
বিবরণে জানা যায়, ফ্রেঞ্চনগর এলাকার বাসিন্দা জিতেন চৌহান নামের এক যুবক সন্ধ্যায় মদের নেশায় মাতাল হয়ে রাস্তায় পথ চলিত মানুষদের অশ্লীল গালিগালাজ করে।
স্থানীয় দু-একজন প্রতিবাদ করলে বাড়ি থেকে দাঁরালো অস্ত্র নিয়ে এসে মারমুখি হয়ে ওঠে জিতেন। শেষে স্থানীয় মানুষ ভিডিপি এবং পঞ্চায়েত প্রতিনিধি সহ লায়লাপুর পুলিশে খবর দেন।
ছুটে আসেন লায়লাপুর পেট্রোল পোষ্টের ইনচার্জ নোচাং সিয়াম।
কিন্তু তিনি এসে মদ্যপ জিতেন চৌহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে জড়ো হওয়া সাধারণ জনগণের উপর অতর্কিতে লাঠিচার্জ শুরু করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতে আতঙ্কিত জনগণ ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে গেলে পুলিশও সেখান থেকে চলে যায়।
পরে কয়েকশো ক্ষুব্ধ পুরুষ মহিলা রাস্তায় বেরিয়ে এসে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, গ্ৰামরক্ষি বাহিনীর উপদেষ্টা অমিয় কান্তি দাস সহ ধলাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ বরুয়ার সাথে কথা বলেন।
তারা লায়লাপুর পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইনচার্জের বদলির দাবি করেন। এরপর ধলাই থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ বরুয়ার নির্দেশে ধলাই পুলিশ ছুটে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মদ্যপান করে জিতেন চৌহানের দাদাগিরি আজকের নতুন নয়।
এর আগেও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে সে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং লায়লাপুর পুলিশে মামলাও রয়েছে বলে জানা যায়। এসব মাতালদের এবং মদের ট্যাগগুলির বিরুদ্ধে আবগারি বিভাগ সহ পুলিশের শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগী জনগণ।