লুরিনের প্রশ্ন বহিষ্কার করছেনা কেন সরকার?
শম্ভু দাস, গণআওয়াজ শিলাপাথর : আসামে এক কোটি পঁচিশ লক্ষ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করলেন এজেপি সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ।
ঝাড়খণ্ডে এক নির্বাচনী সভায় হিমন্ত বিশ্বশৰ্মা এই মন্তব্য করে বলেন, এদের মধ্যে ৪০ জন বিধায়ক, ন্যায়াধীশ এবং অধ্যক্ষও রয়েছেন।
লুরিনজ্যোতি বলেন, ৪৩ বছর ধরে আসামে অবৈধ বিদেশী থাকার কথা মুখ্যমন্ত্ৰী নিজের মুখে স্বীকার করেছেন, কিন্তু বিদেশীদের সনাক্ত করে বহিষ্কার করার দায়িত্বও তাঁর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের।
১৯৭১ সালের আসম চুক্তি অনুযায়ী অবৈধ বিদেশী নাগরিকদের বহিস্কার এবং সেই সঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে নাম কৰ্তনের দাবী জানান লুরিন।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন তা না করে ‘কা’ আইন চাপিয়ে দিয়ে বিদেশী নাগরিকদের বহিস্কারের পরিবর্তে সংস্থাপন দিতে চাইছেন?
তিনি রাজ্য এবং কেন্দ্ৰীয় সরকারকে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্ৰিপাক্ষিক চুক্তি করে বিদেশী নাগরিকদের বহিস্কার করার দাবী জানান, কারণ আসাম বিদেশীদের চারণভূমি নয়।
অবৈধ বিদেশীদ আগ্ৰাসনে রাজনৈতিক, সামাজিক পটভুমিকে ধ্বংসের ঠেলে দেওয়ার সাথে সাথে অসমীয়া ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতির উপর সংকট নেমে এসেছে বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে অসমের কয়েকটি বিহু মঞ্চে শিল্পীদের দিয়ে সংগীতানুষ্ঠান করানোর পর চুক্তিমত অর্থ না দিয়ে অপমান করার তীব্র নিন্দা জানান এজেপি-র এই নেতা।
কণ্ঠশিল্পী মৌসম গগৈর মাতৃ বিয়োগের খবর নিতে এসে শিলাপাথরে শিল্পীর ঘরে বসে সাংবাদিকদের মুখামুখি হয়ে এভাবেই মন্তব্য করেন অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিনজ্যোতি।