সর্বত্রই যেন বিরাজ করছে অজানা আতংকের ছায়া
নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : বরাকের দুটি আসনে জয়ী হওয়ার পরও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অন্যান্য নির্বাচনের মত কোন উচ্ছাস বা উন্মাদনা নেই। সবাই যেন কোন অজানা আতংকে রয়েছে।
কাছাড় জেলা বিজেপি কার্যালয়ে গিয়েও এই একই অবস্থা দেখা যায়, কিছু কর্মিকে দেখতে পেলেও তাদের মনে উচ্ছাস বা উন্মাদনা নেই।
হিন্দুত্ববাদী এই দল সু-শাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ থেকে পর পর দুটি টার্ম দিল্লীর মসনদ দখল করে।
এরপর দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও সরকার গড়তে সক্ষম হয়।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসামেও প্রথমবারের সর্বানন্দ সানোয়ালের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে।
প্রথম পাঁচ বছরের পারফর্মান্যাসের কারনে জনগণ বিজেপিকে দ্বিতিয়বারের মত কেন্দ্র এবং রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আনেন।
কিন্তু দ্বিতীয় টার্মের দুর্নীতি এবং অপশাসনে বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
এবার লোকসভা নির্বাচনে চার‘শ’ পার স্লোগান তুলে বাজিমাত করতে চাইলেও ভোটাররা তাদেরকে ক্ষমতা থেকেই ছুড়ে ফেলেন।
এককভাবে সরকার গঠনের ক্ষমতা নেই বিজেপির।
তাই বিহারের জেডিইউ নেতা নিতিশ কুমারের কাছে এবং টিডিপি দলের চন্দ্রবাবু নাইডুর কাছে হাত পাততে হচ্ছে দাম্ভিক বিজেপি নেতাদের।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটও সরকার গঠনের তোরজোড় শুরু করেছে।
এই অবস্থায় ইন্ডিয়া জোট কেন্দ্রে সরকার গঠন করলে দুর্নীতি এবং অপশাসনের জন্য বিজেপির অনেক নেতাকে জেলেও যেতে হতে পারে।
বিভিন্ন দুর্নীতি এবং অপশাসনের জন্য আইনের লালঘরে যেতে হতে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সহ মন্ত্রীসভার অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক এবং বিজেপি নেতাদের। ভেঙ্গে যেতে পারে আসামের বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারও। তাই এখন সবাই তাকিয়ে দিল্লীর দিকে।