পাথারকান্দিতে ধানক্ষেতে উদ্ধার যুবতীর অর্ধনগ্ন লাশ, থানা ঘেরাও
করিমগঞ্জ, ১১ সেপ্টেম্বর, রবিবার : পাথারকান্দির এক যুবতীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল গোটা এলাকা।
রবিবার ধানক্ষেতে অর্ধনগ্ন অবস্হায় পঞ্চমী সিনহা (৩০) নামের ওই যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই পাথারকান্দি এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে শনিবার সন্ধ্যার পর তার বড়বোনকে প্রতিবেশী মৌসুমী সিনহাদের বাড়ির দিকে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে পড়েছিলেন পঞ্চমী। তার মোবাইল ফোনও ঘরে রেখে যান।
কিন্তু রাত ৯ টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তার সন্ধানে বেরোলেও গভীর রাত পর্যন্ত কোনও হদিশ বের করতে ব্যর্থ হন।
আজ ভোর ৫ টা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা পুনরায় খোঁজ নিতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেন তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দুরত্বে অর্ধনগ্ন অবস্হায় পঞ্চমীর ক্ষত-বিক্ষত নিথর দেহ ধানক্ষেতে পড়ে রয়েছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গোটা এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
খবর দেওয়া হয় পাথারকান্দি থানায়। থানার পরিদর্শক ওসি সমরজিৎ বসুমাতারি দলবল নিয়ে ঘটনাস্হলে উপস্হিত হন।
উত্তেজিত জনতা ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের পাকড়াও করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানাতে থাকেন।
ওসি উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। খবর পেয়ে পাথারকান্দি থানায় উপস্হিত হন ডিএসপি গীতার্থ শর্মা।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উত্তেজিত জনগণ পাথারকান্দি থানা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত খুনিদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাতে থাকেন।
জনতার বিক্ষোভে থানা প্রাঙ্গণ উত্তাল করার সময় স্নিফার কুকুর নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে উপস্হিত হলেও কোন ক্ল্যু বের করতে ব্যর্থ হয়।
তবে পঞ্চমীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পাথারকান্দির এক দোকানের মালিক-সহ চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
তিন জনকে ছেড়ে দিলেও খুন হওয়া যুবতীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী গ্রাম জামিরালার লিবু সিনহাকে আটক করে পুলিশ। জানা গেছে, লিবু সিনহার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল পঞ্চমীর।
ইতিমধ্যে আরও এক বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন পঞ্চমীর প্রেমিক লিবু সিনহা। এই ত্রিকোণ প্রেমের রেশ ধরেই হয়তো করুণ পরিণতি। তবে যথাযথ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।