আব্দুর রহমান, নিলামবাজার : করিমগঞ্জে দলীয় প্রার্থী হাফিজ রসিদের পরাজয়ের জন্য জেলা সভাপতিকে দায়ী করলেন অসম-প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক আমিনুর রশিদ চৌধুরী।
তিনি বলেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কংগ্রেসকে সঙ্গ দিয়েছেন দক্ষিণ করিমগঞ্জের মানুষ, হাত ভরে হাফিজ রশিদ আহমদ চৌধুরীকে ভোট দিয়েছেন জনগণ।
তবে তার হারের জন্য আমিনুর করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সংগঠনের অন্দরের বিদ্রোহকে জনসমক্ষে নিয়ে আসেন।
আজ নিলামবাজারে ব্লক কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী তনয় আমিনুর।
তিনি দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ এবং উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের ভুমিকার তীব্র সমালোচনা করে ইস্তফা দিয়ে ফের জয়ী হয়ে দেখানোর চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন।
এদিন করিমগঞ্জের নির্বাচিত সাংসদ কৃপানাথ মালাকেও অভিনন্দন জানান এই কংগ্রেস নেতা।
জনগণ বনাম নেতার লড়াইয়ে কংগ্রেসের নৈতিক জয় হয়েছে দাবি করে আমিনুর বলেন, কংগ্রেস প্রার্থী পাঁচ লক্ষের অধিক ভোট পেয়েছেন।
এই পরিসংখ্যান ২৬শের বিধানসভা নির্বাচনে দলবিরোধী নেতাদের জনগণ যোগ্য জবাব দেওয়ার ইঙ্গিত বলে দাবী করেন আমিনুর।
দলীয় প্রার্থী হাফিজ রশিদ চৌধুরীর পরাজয়ের অন্যতম কারন হিসাবে তিনি জেলা কংগ্রেস সভাপতির ভূমিকাকে দায়ী করে রীতিমত সাংগঠনিক বিতর্কের সৃষ্টি করেন।
এমনকি জেলা সভাপতির ভোট কেন্দ্রে কতটা ভোট কংগ্রেসে এসেছে তার হিসাবও দাবী করেন বসেন আমিনুর। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক মুহিদুল ইসলাম, প্রবীণ কংগ্রেসি বুরহান উদ্দিন ও স্থানীয় মণ্ডল কংগ্রেস সভাপতি তাজ উদ্দিন প্রমূখ।