নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : ধলাইর বিধায়ক পরিমল শুক্লাবৈদ্য সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় এই সমষ্টির উপনির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে ছয় মাসের মধ্যে এই সমষ্টির উপনির্বাচন বাধ্যতামুলক। তাই বিভিন্ন দলের প্রার্থী প্রত্যাশিরা মাঠ চষে বেড়ানো শুরু করে দিয়েছেন।
এই প্রার্থী প্রত্যাশীদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। কেবল শাসক দলেরই প্রায় সতেরোজন প্রার্থী প্রত্যাশী মাঠে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে।
যদিও এরমধ্যে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অমিয় কান্তি দাশ, সোমেন দাশ, প্রিতিসচন্দ্র দাশ, সুবোধ দাশ নীহার রঞ্জন দাশ।
কিন্তু পরিমল কি এত সহজে নিজের দখলে থাকা এই সমষ্টি ছেড়ে দেবেন? না নিজের স্ত্রি-পুত্র কাউকে প্রার্থী করে দখলে রাখার চেষ্টা করবেন?
এই সতেরোজন প্রার্থী প্রত্যাশীর মধ্যে অর্ধেকের বেশী পরিমলের ইশারায় মাঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়।
কারন পরিমল চাইছিলেন না এই সীট ছেড়ে লোকসভায় যেতে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে রাজনীতির দাবার চালের কাছে হার মানতে হয়েছে।
দল তাকে লোকসভায় দাঁড়া করিয়ে বিফুল ভোটে সাংসদ নির্বাচিত করেছে। এখন পরিমল চাইছেন এই সমষ্টিতে নিজের স্ত্রি-পুত্র কাউকে বিধায়ক নির্বাচিত করতে।
কারন সাধারণ মানুষ কিছু পাক আর না পাক এখান থেকে তিনি অনেক কিছু পেয়েছেন।
ভেঞ্চার স্কুলের শিক্ষক থেকে রাজনীতিতে এসে পরিমল শুক্লবৈদ্য নামে বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় জমাতে সফল হয়েছেন।
এখন কিভাবে এই সমষ্টি হাত ছাড়া করতে পারেন? তাই যে কোন উপায়ে এই সমষ্টি নিজের পরিবারের দখলে রাখতে মরিয়া সাংসদ পরিমল।
যেসব প্রার্থীত্ব প্রত্যাশী মাঠ চষে ঘুরছেন, তাদের বেশীর অংশই পরিমলের সাতরাঞ্জের ঘুটি হিসাবে কাজ করছেন।
শেষ পর্যায়ে তাঁর ইশারায় স্ত্রী-পুত্রদের মধ্যে কাউকে সমর্থন করে দাবী প্রত্যাহার নেবেন বলে আশংকা জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের।
কিন্তু নাছুরবান্দা অমিয়কান্তি দাশ, তিনি সাংসদ পরিমলকে দস্তুরমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দাবী জোরদার করে যাচ্ছেন।
এদিকে বুধবার পূর্ব ধলাই সংগঠনের এক বিশাল অংশ হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঘনিষ্ঠ লক্ষিপুরের বিধায়ক কৌশিক রাই এবং দলের কাছাড় জেলা সভাপতি বিমলেন্দু রায়ের কাছে তাঁর হয়ে টিকিটের দাবি জানিয়ে এসেছেন।
এতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে পরিমল শুক্লবৈদ্য শিলচর লোকসভা থেকে বিপুল ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হলেও ধলাইয়ে তাঁকে দলের শক্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।