নিউজ ডেক্স, গণআওয়াজ : টাকা দিয়ে যেমন গোলাম কেনা যায়, পেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে মনুষ্যত্বকে স্তব্ধ করা যায়।
আজ এরকমই একটি দুর্ভাগ্যজনক প্রতিবেদন গণআওয়াজ নিয়ে এসেছে।
আমাদের এই প্রতিবেদন যদি আপনাদের বিবেককে সামান্যতম নাড়া দেয়, তাহলে শেয়ার, লাইক এবং সাবস্ক্রাইব করে সঙ্গে থাকুন।
এই ঘটনাটি কাছাড় জেলার গনিগ্রাম দুধ পুরের।
প্রথমেই দেখে নিন নির্যাতিত দিনমজুর হিলাজ উদ্দিন বড়ভুইয়ার ঘরের ভিতরের ক্যামেরা বন্দি চিত্র।
ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে হিলাজ সহ তার মা-বোনকে বেধড়ক মারপিট করে পুরো ঘর তছনছ করে দিয়েছে পাশের বাড়ির টাকা এবং পেশি শক্তিধর অভিযুক্তরা।
বাড়ী থেকে তাদের দুটি বাইকও ছিন্তাই করা হয়েছে বলে হিলাজ এবং তাঁর মা-বোনের অভিযোগ।
জাল নতি দিয়ে হিলালের বাড়ীরর বৃহৎ অংশ দাবী করছে পাশের বাড়ির অর্থ এবং পেশী বলে বলিয়ান অভিযুক্তরা। এনিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।
যে অংশ নিয়ে এই বিতর্ক সেখানে আদালত ইঞ্জাংশন জারি করেছে জানিয়েছেন হিলাজের মা।
কিন্তু অর্থ এবং পেশী বলে বলিয়ান অভিযুক্তরা আদালতের ইঞ্জাংশন অমান্য করে পুলিশকে মেনেজে নিয়ে রাতারাতি পাকা ঘরের কাজ শুরু করে।

এব্যাপারে প্রতীবাদ জানানোয় ২৫ নভেরম্বর অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হামলা চালায় হিলাজ এবং তাঁর বৃদ্ধ মায়ের উপর।
এঘটনায় তারা দুজনই গুরত্বর আহত হয়। পুরো শরীরে রয়েছে মারপিটের আঘাত।
হিলাজ জানিয়েছেন তিনি এবং তাঁর মা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করতে কাটিগড়া থানায় গিয়েছিলেন।
কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অসি মামলা না নিয়ে তাদেরকেই গুলি করার হুমকি দিয়েছে। পরে তারা শিলচর এসে সদর থানায় মামলা করেছেন।
সদর থানার পুলিশ তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেছে।
মা এবং ভাইকে মারপিটের খবর পেয়ে ছুটে আসেন হিলাজের বিবাহিত বোন, কিন্তু তিনিও এই দূরবৃত্বদের হাত থেকে রেহাই পাননি।
এক ডিসেন্বর আবারও তাদের ঘরে ডুকে মারপিট করা হয়। গুরত্বর আহত হন হিলাজের বিবাহিত বোনও। এতসব ঘটনা ঘটে গেলেও ভয়ে চুপ গোটা এলাকার মানুষ।
হিলাজ এবং তাঁর মা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, এলাকার সবাই তাদের ভয় পায়।
কারন তাদের টাকা এবং পেশী শক্তি অনেক বেশি। পুলিশকে পকেটে নিয়ে তারা দিব্যি বার্মিজ সুপারি সহ অন্যান্য অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
এই ভয়ানক ঘটনা ঘটলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত ঘটনা স্থলও পরিদর্শন করার প্রয়োজনীয়তাও মনে করেনি।
পুলিশের পোশাক পরে যারা এই অপকর্ম চালাচ্ছে, তারা ভুলে গেছে মানুষ তাদেরকে ভয় করেনা, সম্মান করে পোশাককে। পোশাক খোলার পর তারাও সাধারণ মানুষ। তবে এমন দিনও আসতে পারে, মানুষের ধৈর্যের বাধ ভাঙ্গলে ইংরেজ সিপাইদের মত এসব পুলিশ কর্মীরাও গণধোলাইর শিকার হতে পারেন।