নিউজ ডেক্স গণআওয়াজ : চরম জনক্ষোভের মধ্যে শেষ পর্যন্ত পঞ্চাশ জন গুরত্বর রোগীর সোনোগ্রাফি করাতে রাজী হলেন শিলচর সিভিল হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট।
এরজন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজন রেডিওলজিস্টকে ডেকে আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, দিনের পর দিন নানান অজুহাত দেখিয়ে রোগীদের সোনোগ্রাফি করানোর টুকেন না দিয়ে হয়রানী করে আসছিলেন হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মীরা।
আজ সকালেও রোগীর নিকট ঘনিষ্ঠরা সোনোগ্রাফির টুকেন সংগ্রহ করতে ভোর চারটা-পাঁচটা থেকে লাইন ধরেন।
কিন্তু দায়িত্বরত কর্মীরা আটটার দিকে তাদের জানিয়ে দেন দশজনকে সোনোগ্রাফির টুকেন দেওয়া হয়ে গেছে, আর কাউকে দেওয়া হবেনা।
এরপরই ক্ষুব্ধ জনতা ঘেরাও করে রাখেন সোনোগ্রাফির টুকেন দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের। পরে ছুটে আসেন হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্ট, তিনি খবর দেন পুলিশে। ছুটে আসে পুলিশও।
অথচ তাঁর কাছে ক্ষুব্ধ জনতার একটাই প্রশ্ন, কেন রোগিদেরকে সোনোগ্রাফির নামে দিনের পর দিন হয়রানী করা হচ্ছে?
কিন্তু এই প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর তাঁর কাছে নেই। শুধু বলেন হাসপাতালে নাকি রেডিওলজিস্ট নেই। সত্তর বছরের এক বৃদ্ধ রেডিওলজিস্ট দশ জনের বেশী রোগী দেখতে নারাজ।
জরুরীকালীন রোগীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, শিলচর মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিন একশ থেকে দেড়শ রোগীর সোনোগ্রাফি হচ্ছে সেখানে গিয়ে করাতে।
কিন্তু ডক্টর রেফার না করলে মেডিক্যাল কলেজে কি রোগীর সোনোগ্রাফি করবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি মুখ ফসকে বলেন তাহলে বাইরে থেকে করিয়ে আনতে হবে।
এর মানে হচ্ছে, বাইরের সঙ্গে শিলচর সিভিল হাসপাতালের কর্তিপক্ষের গোপন সম্পর্কের জন্যই রোগীদের এই হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে। রোগীর সঙ্গে আসা নিকট আত্মিয়রা এই অভিযোগ তুলেছেন।