জুলি দাস, করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জ আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদ থেকে বহিষ্কার করা হল কবির আহমেদকে।
বিভিন্ন দুর্নীতি সামনে অভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বুধবার পরিচালন কমিটির সভায় রিপোর্ট জমা দেন তদন্তকারী আধিকারিক আইনজীবী বিপ্লব দেব। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের অধ্যক্ষকে বহিষ্কারের খবর জানান পরিচালন কমিটির সভাপতি আইনজীবী মিশনরঞ্জন দাস।
তিনি জানান, অধ্যক্ষ কবির তদন্ত চলাকালীন কমিটিকে কোন সহযোগিতা করেননি, তাই তদন্তকারী কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে একতরফা রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে মহাবিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক সুপ্রিয় চৌধুরীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
সভাপতি মিশন জানিয়েছেন, মনির উদ্দিন আনসারী নামের জনৈক ব্যক্তিকে অবৈধভাবে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন কবির।
অথচ কর্মচারীরা বলেছেন, আনসারী কোনোদিন কলেজে আসেননি, এদিকে মাসিক বেতন হিসেবে চার লক্ষ ২১হাজার ৭৭০ টাকা নয়ছয় হয়েছে।
অন্যদিকে ডোনেশন হিসেবে ছাত্রদের কাছ থেকে ৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৯১৯ টাকা সংগ্রহ করেন কবির আহমেদ, এই টাকা কলেজ তহবিল বা ব্যাংক একাউন্টে জমা না করে নিজের কাছে রাখেন।
এছাড়া টিউশন এবং ভর্তি ফি বাবদ নেওয়া ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৪৬৩ টাকা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে নিজের হাতে রেখে ছিলেন কবির।
এমনকি সজল নাথ নামের এক ছাত্রের কাছ থেকে ফাইন বাবদ অবৈধভাবে ৫৫০০ টাকা সংগ্রহ করা হলেও এই টাকা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেন কবির আহমেদ।
কবির আহমেদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ আগামী কিছুদিনের মধ্যে সভায় বসে নেওয়া হবে জানিয়েছেন পরিচালন কমিটির সভাপতি আইনজীবী মিশনরঞ্জন দাস।