করিমগঞ্জ, ১৪ অক্টোবর : কিশোরী পরিচারিকার মৃত্যু ঘিরে রহস্য অব্যাহত করিমগঞ্জে। মৃত কিশোরীর মুখ দিয়ে যেমন ফেনা বের হওয়া দেখা গেছে, তেমনি শরীরের অন্যান্য অংশে জখমের চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়াও স্বাভাবিকের থেকে পেট অনেকটাই স্ফীত দেখা গেছে, এতে ভিন্ন রকম প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে।
নাবালিকা ওই পরিচারিকার রহস্যমৃত্যু নিয়ে গত কদিন ধরেই জোর চর্চা চলছে করিমগঞ্জে। ঘটনাটি ঘটেছে গতমঙ্গলবার শহরের রাজচন্দ্র লেনের বাসিন্দা উত্তর করিমগঞ্জ উন্নয়ন খণ্ডের সহকারী বিডিও তাপস পোদ্দারের বাড়িতে। মালিক পক্ষের দাবি, মেয়েটির নাম লাকি রায় (১৪), গত দু’বছর ধরে সে ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছে।
গৃহকর্তা তাপস পোদ্দারের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার তাঁরা সবাই বাইরে গিয়েছিলেন। বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখতে পান পরিচারিকার দেহ পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের মানুষ ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মেয়েটির বাবাকেও খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যায় এবং পরে অভিভাবকদের কাছে মৃতদেহ সমঝে দেওয়া হয়। লাকির মৃত্যু খুন না আত্মহত্যা, এনিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।
ঘটনাটি পরিকল্পিত খুন কি না তা যেমন স্পষ্ট নয়, তেমনি আত্মহননের ঘটনা হয়ে থাকলে কী কারণে নাবালিকা মেয়েটি আত্মহত্যা করল এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে জানা যায় মৃত লাকির বাড়ি রাঙামাটি। লাকির অভিভাবকরা সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন। এনিয়ে করিমগঞ্জ সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন লাকির বাবা মিথুল রায়। লাকির মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন শহরের মানুষ। এদিকে জানাগেছে পুলিশ করিমগঞ্জে সহকারী বিডিও তাপস পোদ্দারকে গ্রেফতার করেছে।