গুয়াহাটি : এক জুলাই থেকে দেশে তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন কার্যকর হবে। এই আইনগুলো হল- ভারতের নাগরিক সুরক্ষা কোড, ইন্ডিয়ান কোড অফ জাস্টিস এবং ভারতীয় প্রমাণ আইন।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আইনগুলির অনুমোদন ও স্বাক্ষর করার পরে ১জুলাই থেকে এই তিনটি আইন কার্যকর হবে৷ রবিবার গুয়াহাটি প্রেসক্লাবে তিনটি অপরাধমূলক আইনের উপর একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় আসাম পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুন্না প্রসাদ গুপ্ত এবং গুয়াহাটি হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট অংশুমান বরা উপস্থিত ছিলেন।
এডিজিপি মুন্না প্রসাদ গুপ্ত কার্যকর হওয়া তিনটি ফৌজদারি আইন থেকে সাধারণ মানুষ কীভাবে উপকৃত হবে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে কীভাবে আইনগুলি কার্যকর করা হবে সে সম্পর্কে শ্রোতাদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, জাস্টিস কোডের মধ্যে রয়েছে- সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, গণহত্যা, হিট অ্যান্ড রান, একজন নারীর প্রতারণামূলক যৌন শোষণ, ভারতের বাইরে অপহরণ, উস্কানি, ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও ঐক্যকে বিপন্ন করা এবং মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা এ ধরনের অপরাধ।
গুপ্ত বলেন, তিনটি আইন ঔপনিবেশিক যুগের আইন প্রতিস্থাপন করবে।
এই তিনটি আইন কার্যকর হওয়ার পর কোন ধারায় কোন অপরাধের শাস্তি হবে তাও ব্যাখ্যা করেন তিনি। থানায় না এসে অভিযোগ দায়েরের অনলাইন প্রক্রিয়া নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ দায়েরের তিন দিনের মধ্যে অবশ্যই স্বাক্ষর করতে হবে এবং পুলিশকে ৯০ দিনের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ভিকটিমকে জানাতে হবে।
ইলেকট্রনিক অভিযোগ ব্যবস্থাও থাকবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি আগের পরিস্থিতির থেকে অনেকটাই আলাদা, এই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া জরুরি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন দুই রিসোর্স পার্সন।