পালিয়ে আসার পর চালানো হয় অত্যাচার : কাঞ্চনপুর থানায় মামলা
অমৃত পাল, কাঞ্চনপুর : বাবার মৃত্যুর সুযোগ নিয়ে আত্মীয়-স্বজনরা অসহায় একটি মেয়েকে বিবাহের নামে ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ভিন রাজ্যের যুবকের কাছে বিক্রি করে দেয়।
সেখানে নিয়ে অসহায় মেয়েটিকে দিয়ে দেহ ব্যবসা শুরু করে স্বামী রূপের এই পাষণ্ড। সুযোগ বুঝে মেয়েটি পালিয়ে বাড়িতে, কিন্তু এখানে আসলে আত্মীয়-স্বজনরা ফের মেয়েটির উপর নির্যাতন চালায়।
মেয়েটির বাড়ী কাঞ্চনপুর মহকুমার সাতনালা এলাকায়। জানাযায়, দীর্ঘদিন আগে নির্যাতিতা এই মেয়ের বাবা মহেন্দ্র নাথ মারা যান, এরপর মেয়েটি এবং তাঁর মা অসহায় হয়ে পড়েন।
এদিকে মেয়েটি বিবাহযোগ্য হয়ে উঠলে আত্মীয়-স্বজনরা বিবাহের নামে বিহারের পান্ডব রাহুত নামের এক যুবকের কাছে ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।
বিয়ের পর মেয়েটি চলে যায় তার স্বামীর বাড়ি বিহারে। কিন্তু বিহারে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা শুরু করে স্বামী পান্ডব রাহুত জানায় মেয়েটি।
দেহ ব্যবসায় রাজী না হলে স্বামী পান্ডেব জানায় যে তাকে তিরিশ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়েছে, তাই সে যা বলবে তাকে তাই করতে হবে।
স্বামীর অত্যাচার অনেকদিন সহ্য করার পর বিহার থেকে পালিয়ে বাবার বাড়ি আসতে সক্ষম হয় মেয়েটি।
কাঞ্চনপুর মহাকুমার সাতনালার বাবার বাড়ি আসার পর আত্মীয়-স্বজনরা তাকে বিহারে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে এবং মারদূরও করেন বলে জানায় অসহায় মেয়েটি।
আত্মীয়-স্বজনদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় অসহায় মেয়েটি বাধ্য হয়ে কাঞ্চনপুর থানায় একটি মামলা করে। এখন কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ এবং আইন অসহায় মেয়েটির উপর চলে আসা অত্যাচারের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।