ধলাই প্রতিনিধি, গণআওয়াজ : কয়েক বছরের বিরতির পর আসাম-মণিপুর এবং আসাম মিজোরাম সীমান্তে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে জঙ্গিবাদ।
লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর সফরের আগে জিরিবামে দুষ্কৃতকারীদের পাম্প হাউসে অগ্নি সংযোগ এবং পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লাড়াইয়ে এই আভাস পাওয়া গিয়েছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চেকারচামে জঙ্গিরা পর পর তিন রাউণ্ড গুলি ছুড়ে জানান দিয়েছে তারা এখনও সক্রিয়।
এই ঘটনায় আসামের বরাক উপত্যকা সহ মিজোরাম এবং মণিপুর সীমান্তে বসবাসরত সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জিরিবামের এই ঘটনার পর আসামের জিরিঘাট এলাকার অনেক মানুষ প্রাণভয়ে লক্ষীপুরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, এখনও তারা নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সাহস দেখাননি।
এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার পূর্ব ধলাইর চেকারচাম বাজারের নেপাল দাস নামের এক ব্যক্তির দোকানের সামনে জঙ্গিরা পরপর তিন রাউণ্ড গুলি ছুড়ার ঘটনায় আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে।
নেপাল জানিয়েছেন, গুলির শব্দে আতঙ্কিত জনগণ রাতে তার বাড়িতে এসে ভিড় জমান, তিনি এই ঘটনাটি জানান ধলাখাল-জোড়াখালের শান্তি কমিটির সভাপতি ডেভিড মার সহ অন্যান্যদেরকে।
তারা আসার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান জঙ্গিরা একটি গুলি রাস্তার সিসি ব্লকে, একটি দোকানের বারান্দার মাটিতে এবং একটি শূন্যে ছুরেছে।
বাজারের দোকানদাররা জানিয়েছেন, গুলির শব্দ শোনে তারা দরজা খুলে দেখতে পান নেপাল দাসের দোকানের সামনে সেনা পোশাকে চার-পাচ জন রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের হাতে একে ৪৭ রাইফেল।
ঘটনার প্রায় বারো ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কচুদরম পুলিশ।
স্থানীয়রা তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে জঙ্গিদের ছুড়া একে-৪৭ এর দুটি কার্তুজ পুলিশের হাতে তুলে দেন। এই ঘটনা প্রমান করেছে, কয়েক বছরের বিরতির পর আসাম-মণিপুর এবং আসাম মিজোরাম সীমান্তে ফের সক্রিয় জঙ্গিবাদ।