বারই গ্রাম, আসাম, ১০ সেপ্টেম্বর, শনিবার : ফয়েজে জলিল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে প্রতি শুক্রবারে অনউপস্থিত থাকা এবং মিডেমিল, ছাত্রদের ইউনিফর্ম সহ বিভিন্ন ফান্ড আত্মসাতের অভিযোগে উদ্বিঘ্ন বিজেপি নেত্রী শিপ্রাগুন।
দক্ষিণ করিমগঞ্জ বিধানসভার অন্তরগত বরুয়ালা জিপির দশ নম্বর ওয়ার্ডের ডলুরবন্দ এলাকার ফয়েজে জালিল সিনিয়র মাদ্রাসাটি হাইস্কুলে পরিনত হলেও বাস্তবে পুরোনো নিয়মেই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।
শুক্রবার বিদ্যালয়ের দরজা খোলা রাখা হলে প্রধান শিক্ষক সহ প্রায় শতেরো জন শিক্ষক এই দিনটিতে জুম্মার নামাজের বাহানা দেখিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুপস্তিত থাকেন।
এমনকি প্রধান শিক্ষক রাসিদ আহমেদ তালুকদার প্রতি শুক্রবারে নামাজ শেষে দুপুর দুটোয় বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করেন।
শুধু তাই নয়, প্রধান শিক্ষক বিভাগীয় আদিকারিককে মেনেজ করে এক বছরের মিডেমিল ও ছাত্রদের ইউনিফর্ম সহ বিভিন্ন ফান্ড আত্মসাৎ করার অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেত্রী শিপ্রাগুন।
শিপ্রাগুন আজ সংবাদমাদ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্থ বিশ্ব সর্মা যখন মুসলিম ছাত্র-ছাত্রিদেরকে পড়াশুনায় অর্গসর করার জন্য কঠোরভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন টিক তখনই প্রধান শিক্ষক রসিদ আহমেদ তালুকদার কর্তব্যে ফাঁকি দেওয়া এবং মিডেমিল, ছাত্রদের ইউনিফর্ম সহ বিভিন্ন ফান্ড আত্মসাৎ করছেন।
এমনকি গুণউৎসবে বিদ্যালয়ের স্থান নিয়ে বলতে গিয়ে জানান প্রধান শিক্ষকের কারনে ‘সি’ গ্রেড পায়েছে। তিনি বলেন, মাদ্রাসাটি সরকার বিদ্যালয়ে পরিনত করলেও ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষকদের নাম পযর্ন্ত যানেন না।
শুক্রবারে নামাজের নাম করে সকল শিক্ষকই অনুপস্তিত থাকেন আর সেই সময় ছাত্রছাত্রীরা লেখা পড়া ছেড়ে বিদ্যালয়ে ভেতরে লুডুখেলা নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।
স্থানীয় জনগণ এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হলে প্রধান শিক্ষক বিভাগীয় আধিকারিকদেরকে মেনেজ করে জনগণকে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখেন।
নেত্রী শিপ্রা গুন এসব অভিযোগের উচ্ছ পর্যায়ের তদন্তে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করেন।