নিউজ ডেক্স গণআওয়াজ : অসম-মণিপুর সীমান্তে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর উদ্দেশ্যে এই পাহাড়ে ঘাটি করছিল জঙ্গিরা।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো আজ সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সূত্রের খবরের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গঙ্গানগরে তিন মার জঙ্গিকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলা বারুদ সহ পাকড়াও হয়।
অটো রিক্সা করে যাওয়ার পথে গঙ্গানগর চতুর্থ খণ্ডে পাকড়াও করে কচুদরম পুলিশ।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে ভুবন পাহাড়ে জঙ্গিদের গোপণ ঘাটিতে পুলিশের বিশাল বাহিনী রাতে অভিযানে নামে।
সেই সময় জঙ্গিদের ছয় সাতজনের একটি দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে।
এই সুযোগে আটকাধীন তিন জঙ্গি পালিয়ে যায়।
তবে জঙ্গি-পুলিশের দীর্ঘ গুলির লড়াইয়ের পর তিন জঙ্গিকে গুরত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনাই পিএইচসিতে, এখান থেকে পাঠানো হয় শিলচর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে।
কিন্তু সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষনা করেন।
এদিকে এই গুলির লড়াইয়ে তিনজন পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
তারাও শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পলাতক জঙ্গিদের সম্পর্কে পুলিশ সুপার মাহাতো বলেন, তাদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত জঙ্গিরা হল লালুঙ্গাউই হামার, লালবিকুং হামর এবং জোশুয়া। লালুঙ্গাউই হামার ও লালবিকুং হামর কাছাড় জেলার লক্ষীপুর থানা ফুলেরতল দিলকুশ গ্রান্টের বাসিন্দা এবং জোশুয়া মনিপুরের চুরাচান্দপুর জেলার টিপাইমুখের বাসিন্দা।