ধুবড়ি, ২৯ সেপ্টেম্বর : বৃহস্পতিবার ধুবড়িতে ব্রহ্মপুত্রের বুকে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জু দাস সহ বেশ ক’জন। সকাল প্রায় সোয়া দশটা নাগাদ সংঘটিত হয়েছে ঘটনাটি।
এসডিআরএফ ও এনডিআরএফ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডুবুরিদের নিয়ে উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়েছে। এদিকে নৌকাডুবির ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।এনডিআরএফ-এর তরফে জানানো হয়েচে, ইঞ্জিন-চালিত নৌকায় ছিলেন অন্তত ২৯ জন যাত্রী।
এঁদের মধ্যে প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট তথা ধুবড়ির সার্কল অফিসার সঞ্জু দাস ও তাঁর দুই সহকর্মী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, সাধারণ নাগরিক সহ এখনও নিখোঁজ সাত জন। উদ্ধারকৃতদের ধুবড়ি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকার্য পর্যবেক্ষণ করছেন জেলাশাসক আম্বামাথুন এমপি সহ সাধারণ ও পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা। জানা গেছে, লাটমণ্ডল নমেজ উদ্দিন এবং পিটার নামের এক সহকারী কৰ্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে আমিনের চর অঞ্চলে নদী ভাঙনের ফিল্ড ভেরিফিকেশনে গিয়েছিলেন ধুবড়ির সার্কল অফিসার সঞ্জু দাস।
ভাসানিচরে তাঁরা অভিশপ্ত ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চড়ে ধুবড়ি আসছিলেন। আর তখনই ব্রহ্মপুত্রের বুকে আয়রনজংলায় নির্মীয়মাণ ধুবড়ি-ফুলবাড়ি সেতুর এলএনটি ট্যাপ-২-র একটি খুঁটির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে নৌকাটির।
দুর্ঘটনাটি সম্পর্কে সাবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, নৌকাডুবির ঘটনাটি তাঁকে মর্মাহত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নৌকাটি মূলত পণ্য পরিবহণে ব্যবহার করা হয়। সার্কল অফিসার সঞ্জু দাস ও তাঁর সহকর্মী এবং অন্যরা যাত্রী হিসেবে কেন ওই নৌকায় চড়েছিলেন, সে সম্পর্কেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
নৌকাটিতে অন্যদের সঙ্গে ছিলেন ধুবড়ি জেলা কংগ্রেসের মহিলা মোর্চার সভানেত্রী বেবি বেগম ও তাঁর স্বামী। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।