নতুন দিল্লী, ৭ অক্টোবর : দিল্লির একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ১১ বছর বয়সের এক ছাত্রীকে স্কুলের ওয়াশরুমের মধ্যে দুই সিনিয়র গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
দিল্লির স্কুলে এই গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে জুলাই মাসে, তবে গত মঙ্গলবার ওই নাবালিকা সহ পরিবারের সদস্যারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এই ঘটনায় দিল্লি কমিশন ফর উইমেন (DCW) স্কুল এবং দিল্লি পুলিশকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
নতুন দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি), অমরুতা গুগুলথ বলেছেন, আইপিসির প্রাসঙ্গিক ধারা এবং পকসো আইনের 6 ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
মেয়েটি অভিযোগ করেছে যে জুলাই মাসে সে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে তার ক্লাসরুমে যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটেছে, একই স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর দুই ছাত্রের সাথে সে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল।
নাবালিকা ছাত্রী জানায়, এরজন্য সিনিয়র ছাত্রদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছে, কিন্তু তারা তাকে গালিগালাজ করে এবং জোর করে তাকে স্কুলের একটি টয়লেটে নিয়ে যায়। এরপর তারা ওয়াশরুমের দরজা ভেতর থেকে তালা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
স্কুল শিক্ষক ঘটনাটি জানতে পারলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ছাত্রীটির অভিযোগ শিক্ষকের কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানালে তাকে নাকি বলা হয় যে ছেলেদের বহিষ্কার করা হয়েছে এবং অভিযোগটি চুপ করে রাখা হয়েছে।
মেয়েটির অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
এ ঘটনাটিকে খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে DCW চেয়ারপারসন স্বাতি মালিওয়াল সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রাজধানীতে স্কুলগুলোও শিশুদের জন্য অনিরাপদ।
স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্যই দাবি করেছে যে ঘটনাটি ভিকটিম বা তার বাবা-মা প্রিন্সিপালকে জানাননি! গণ-ধর্ষণের এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন ১১ বছর বয়সী কিশোরী পুলিশের কাছে আসে।
DCW চেয়ারপারসন স্বাতি মালিওয়াল বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর আমরা জানতে পারি এবং পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত চলছে। স্কুল কোন ছাত্রকে বহিষ্কার না করেই বলা হয়েছে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্বাতি মালিওয়াল বলেন স্কুলের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন আঞ্চলিক অফিস একটি তদন্ত শুরু করেছে এবং একটি বিশদ রিপোর্ট DCW-তে পাঠানো হবে ৷