জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১৫ অক্টোবর : অসম রাজ্য পরিবহন নিগম (এএসটিসি)-এর করিমগঞ্জ স্টেশনকে আরো উন্নত করে তুলতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, সড়ক নির্মাণ করা ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
শনিবার করিমগঞ্জ এএসটিসি কার্যালয়ে এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস এবং ডিভিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে দীর্ঘ সময়।
সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শিলচরের অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন সুপার (এএসএস) রাজদীপ রায়, করিমগঞ্জ এএসটিসির সুপার হিকল লেম্বা, বদরপুর এএসটিসির সুপার টি নিলকুমার শর্মা।
সভায় করিমগঞ্জ এএসটিসি স্টেশনকে কীভাবে আরো উন্নত করে তোলা যায়, এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে ভিতর পর্যন্ত রাস্তায় জল জমে থাকে বিভিন্ন গর্তের মধ্যে। নালা কেটে জমা জলগুলি নিষ্কাশনের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন এএসটিসির চেয়ারম্যান।
এছাড়া সড়কও নির্মাণ করা হবে। আয় বাড়াতে নষ্ট হয়ে যাওয়া গাড়িগুলিকে সংস্কার করে চলাচল করানো হবে।
অন্যদিকে, পোয়ামারায় বাস টার্মিনাল চালু করতে ইয়ার্ড নির্মাণ করার ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকার এক প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে নগর উন্নয়ন মন্ত্রী অশোক সিংহলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এএসটিসির চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস।
ইয়ার্ড নির্মাণ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে মন্ত্রীর কাছে দাবি রাখা হয়। বর্তমানে ইয়ার্ড না থাকার ফলে বাস ওখানে বের হতে এবং ঢুকতে অসুবিধার মুখে পড়বে। ফলে বাস টার্মিনাল পুরোপুরি চালু করার আগে ইয়ার্ড নির্মাণ করা একান্ত জরুরী বলে মন্ত্রীকে জানানো হয়।
শনিবার এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। পোয়ামারা বাস টার্মিনালে করিমগঞ্জ এএসটিসি কার্যালয় নিয়ে যাওয়ার জন্য বদরপুরের বিধায়ক এএসটিসির এমডিকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেই বিষয়ে শিলচরের ডিভিশনাল সুপারিনটেনডেন্টের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন এমডি।
কিন্তু পোয়ামারা বাস টার্মিনাল এএসটিসির নয় বলে সভায় জানান চেয়ারম্যান।
অন্যদিকে, বদরপুর এএসটিসি স্টেশনে মাটি ভরাট করে উন্নত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বদরপুর নবীনচন্দ্র কলেজ এএসটিসির জমি লিজে নিতে যে আবেদন করেছিল সেটা সম্প্রতি খারিজ করে দিয়েছে এএসটিসির বোর্ড। সভায় এই বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
এএসটিসির ডিভিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল হক চৌধুরী বলেছেন, বন্ধ হয়ে থাকা এএসটিসির কয়েকটি গাড়িকে সংস্কার করে তুলে স্থানীয়ভাবে চালানো হবে।
এতে আয় বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া করিমগঞ্জ এবং গুয়াহাটির মধ্যে চলাচল করতে এএসটিসির নতুন নৈশবাস দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে তদ্বির করছেন এএসটিসির চেয়ারম্যান। এটা করিমগঞ্জবাসীর জন্য একটা সুখবর। শীঘ্রই নতুন নৈশবাস করিমগঞ্জের জন্য মিলতে পারে বলে ডিভিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন।