জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২০ অক্টোবর : কালীপূজায় মন্ডপ এবং আলোকসজ্জায় এবারও নজর কাড়তে চাইছে চরবাজারের নবজাগরণ সংঘ। প্রতিবছরই নবজাগরণের কালীপূজা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
ফলে এই পূজা নিয়ে দর্শকদের একটি বাড়তি উন্মাদনা থাকে। শহরে যে কয়েকটি বড় বাজেটের কালীপূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে, নবজাগরণ সংঘের পূজা এর মধ্যে অন্যতম।
দর্শকরা এবারও যাতে পূজা ভালো করে উপভোগ করতে পারেন, এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ক্লাবের নবীন এবং প্রবীণ সদস্যরা। এবছর ক্লাবের কালীপূজা ৫৯ বছরে পা দিয়েছে।
সন্ধানী সংঘের পাশেই প্রতিবারের মতো এবারও নবজাগরণের সংঘের কালীপূজা আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে।
নবজাগরণ সংঘের মন্ডপ উত্তরপ্রদেশের কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের অনুকরণে করা হচ্ছে। বাঁশ, কাঠ, সুলা ইত্যাদি দিয়ে মন্ডপের বিভিন্ন কারুকার্য করছেন নবদ্বীপের শিল্পী। মণ্ডপের দীর্ঘ ৭০ ফুট।
বর্তমানে মন্ডপের কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। শুধু মণ্ডপ নয়, আলোকসজ্জায়ও দর্শকদের নজর কাড়তে কাজ করে চলেছেন বর্হিরাজ্যের শিল্পীরা। ডিজিটাল আলোকসজ্জা দেখা যাবে এখানে। আলোর মায়াজালে দেখা যাবে মা কালীর বারোটি রূপ। বিদ্যুতের বিশাল বিশাল কয়েকটি গেট থাকবে পূর্ত সড়কের মধ্যে। আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন নবদ্বীপের শিল্পীরা।
মন্ডপ এবং আলোকসজ্জায় নবদ্বীপের শিল্পীরা থাকলেও প্রতিমা নির্মাণ করছেন স্থানীয় শিল্পী। প্রতিমার দীর্ঘ ১১ ফুট।
ক্লাবের কালীপূজার একটি বৈশিষ্ট্য হলো, যে মূর্তিকে পূজা করা হয় তা বিসর্জন করা হয় না। পূজা শেষ হওয়ার পর এলাকার একটি কালী মন্দিরে রেখে দেওয়া হয় প্রতিমা।
নবজাগরণ সংঘের এবারের কালীপূজায় সব মিলিয়ে বাজেট ১২ লক্ষ টাকা। তবে ক্লাবের সদস্যদের মধ্যেই বেশিরভাগ অর্থ সংগ্রহ করা হয়।
এবারের কালীপূজা কমিটির সভাপতি মুকেশ সিং, সম্পাদক আশিষ ঘর। সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ নন্দী বলেছেন, কুড়ি জন শিল্পী দিনরাত কাজ করে চলেছেন।
পাঁচদিন প্রদর্শনী থাকবে। দর্শকরা এই কয়েকদিন ক্লাবের পূজা উপভোগ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেছেন, কালীপূজায় প্রতিবারই বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কার পেয়ে থাকে নবজাগরণ সংঘ। গতবারও পুরস্কার মিলেছে। ক্লাবের পূজা উপভোগ করার জন্য চরবাজারে আসার জন্য জনগণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।