গণ আওয়াজ শিলচর, ১৭ আগস্ট, ২০২২, বুধবার : মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের বাড়িতে টাইলস মিস্ত্রী হাবিদুল ইসলাম নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোন অগ্রগতির খবর নেই। মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে বলে কোন খবর নেই।
তাই এবার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। ফ্রন্টের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যর দায়িত্বজ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, টাইলসের নীচে চাপা পড়ে অত্যন্ত মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যূ হয়েছে এই শ্রমিকের এবং টাইলস কেঁটে তার মৃতদেহ উদ্ধার করতে হয়েছে।
একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী পরিমলের উচিত ছিল নিজে তদারকি করে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করা ও মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেরকম কিছুই করেননি তিনি।
পোর বিষয়টিকে তিনি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছেন। পুলিশ স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলা না করলে হয়তো এ ঘটনাটি প্রকাশ্যেই আসত না।
গত দু’বছর ধরে ইটালিয়ান মার্বেল,সেগুন কাঠ ইত্যাদি বিলাসবহুল সামগ্রী দিয়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মন্ত্রী পরিমলের প্রাসাদোপম বাড়ির কাজ চলছে। একজন মৎস্য ব্যাবসায়ী হয়ে এতো টাকা কোথা থেকে তিনি পেলেন এই প্রশ্নও তুলেন বিডিএফ আহ্বায়ক।
প্রাক্তন বনমন্ত্রীর বাড়িতে যেসব সেগুন কাঠ লাগানো হচ্ছে সেগুলো কোথা আসলো তার উৎস জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবিও জানায় বিডিএফ।
বিডিএফ আহ্বায়ক হৃষীকেশ জানান, সরকারি নিয়মানুযায়ী অনেক দিন ধরেই আসামে সেগুন গাছ কাটা নিষিদ্ধ। কিছুদিন আগে পুলিশি মন্ত্রী পরিমলের নির্বাচনী এলাকা থেকে কিছু সেগুন কাঠ বাজেয়াপ্ত করেছে, যেগুলো অবৈধ ভাবে মিজোরাম থেকে পাচার হচ্ছিল। তাই এই নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।
বিডিএফ এর অন্য এক আহ্বায়ক পার্থ দাস বলেন যে গত বছর একইভাবে মন্ত্রী পরিমলের গাড়ি চালক কাজল দত্ত নিখোঁজ হন।
আজ পর্যন্ত তার কোন সন্ধান মেলেনি। স্থানীয়দের মতে কাজল পরিমলের অনেক গোপনীয় বিষয় জেনে ফেলেছিলেন বলে তাঁকে হত্যা করানো হয়েছে।
পার্থবাবুর প্রশ্ন, যদি কাজলকে হত্যা করানো না হয় জ্বলজ্যান্ত তাঁর গাড়ি চালকের সন্ধান বের করতে নীরব ভুমিকায় মন্ত্রী পরিমল?
তিনি বলেন, আমরা সন্দেহ করছি নিজেই দুস্কর্ম ঢাকতে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন ও তদন্ত প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে রেখেছেন পরিমল।
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগনের আস্থা ও বিশ্বাসের মূল্য দিতে সম্পুর্ন ব্যার্থ হয়েছেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। প্রকাশক, সুজিত কুমার চন্দ, শিলচর।