শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈর চাঞ্চল্যকর তথ্য
গুয়াহাটি, ১ মার্চ : আগরের ব্যবসায় এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল এবং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মধ্যে গোপন বোঝাপড়ার সমালোচনা করলেন শিবসাগর বিধায়ক অখিল গগৈ।
ইন্ডিয়া টুডের একটি রিপোর্ট অনুসারে, শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈ বলেছেন, বদরুদ্দিন আজমল যে আগর দিয়ে সুগন্ধি তৈরি করেন তা আসাম সরকারের একটি বন সম্পদ ৷
কিন্তু আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে এটিকে বাণিজ্যিকীকরণ করেছেন ৷ রাজ্যের সমস্ত ডিসি এবং এসপিদের আজমলের আগর কাঠের পরিবহনে বাধার সৃষ্ট না করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার জারি করা বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে।
পুলিশ এবং বন বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ জারি করা হয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি বা কোনও যানবাহনকে আগর এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক গাছ বহনকারী গাড়িতে যাতে বাধা না দেওয়া হয়।
এদিকে এদিকে এআইইউডিএফ প্রধান বদরাউদ্দিন আজমল কংগ্রেস নেতা ভুপেন বড়া বিরুদ্ধে লোকসভা ও রাজ্যসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার গুরত্বর অভিযোগ উত্তাপন করেছেন।
অখিল গগৈ এআইইউডিএফ নেতা বদরাউদ্দিন আজমল এবং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দুজনের রাজ্য পরিচালনার তিব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, আজমল মুসলিম জনগণের এবং হিমন্ত হিন্দু জনগণের নেতা সেজে প্রতারনা করেছেন।
শিবসাগরের বিধায়ক গগৈ দাবি করে বলেছেন, আজমল ও হিমন্ত দুজনেই ব্যবসায়ী এবং নিজেদের ধনী করতে তারা এই সব করছেন।
তাদের মধ্যে পারস্পরিক গোপন বোঝাপড়া আছে।
সূত্র অনুসারে, আজমল বা অন্য কোনো পারফিউম ব্যারন চূড়ান্ত পণ্যের বিপরীতে রাজ্যকে কোন রয়্যালটি প্রদান করে না।
আসামে এই পণ্যের দাম প্রতি তোলা প্রায় ১০ হাজার, কিন্তু দুবাইতে এই পণ্যগুলির দাম প্রায় ১ লাখ টাকা।
সূত্র আরও যোগ করেছে যে এই চূড়ান্ত পণ্যগুলি তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজে ফ্লাইটের মাধ্যমে নেওয়া হয়ে থাকে।
আগরের ব্যবসায় এমন দাবির মধ্যে একটি প্রশ্ন থেকে যায় যে, বদরুদ্দিন আজমলের এই বিকাশমান ব্যবসা থেকে রাজ্য সরকার আনুগত্য থেকে বঞ্চিত? নাকি রাজ্যের অন্য কোনও সুগন্ধি ব্যারন?
২০২০ সালে, আসাম মন্ত্রিসভা আগর গাছের উপর একটি নতুন নীতি অনুমোদন করে যার লক্ষ্য বাণিজ্যিক স্কেলে সুগন্ধি কাঠের চাষ প্রচার করা এবং রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ করা।
এটি সাঁচিপাটের (সাঁচি ছাল থেকে তৈরি) পাণ্ডুলিপি লেখা ও চিত্রকলার রাজ্যের শতাব্দী-প্রাচীন সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টাকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আসামে ৯,০০০ টিরও বেশি আগরউড তেল উত্তোলন ইউনিট রয়েছে।
এই ইউনিটগুলিতে ৭.২৫ লাখের বেশি আগর গাছের প্রয়োজন এবং অন্যদিকে, প্রায় দুই লাখ মানুষ শিল্পের সাথে জড়িত, এরমধ্যে ৫০,০০০ প্রত্যক্ষ এবং প্রায় ১.৫ লাখ পরোক্ষভাবে।
শীর্ষ মানের আগরউড আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কিলোগ্রাম উচ্চমানের তেলের জন্য ৩০,০০০ মার্কিন ডলার এবং রেজিনাস কাঠের জন্য ১০,০০০ মার্কিন ডলারের বেশি মূল্য।