ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি “এনই চাপ্টার” গঠিত
জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২১ অক্টোবর : ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ত্বরান্বিত করা এবং সাংস্কৃতিক আদান প্রদান করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রতিনিধিদের এক সভায়।
গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত ওই সভায় দুই দেশের সরকারি আধিকারিক ছাড়াও ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং উপরোক্ত উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গঠন করা হয়েছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (নর্থ-ইস্ট চাপ্টার)।
গুয়াহাটির শিলপুকুরিতে থাকা বাংলাদেশের এসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড০ মসিউর রহমান, বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার ড. শাহ মোহম্মদ তানভীর মনসুর, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এলপিএআই)-র ম্যানেজার অরবিন্দ আকাশি, শোয়েব চৌধুরী, ইশান্তর শোভাপন্ডিত।
এছাড়াও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ৩৫ জন সদস্য এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের আরো ৩৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে এবং ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দু’দিনের ক্রেতা এবং বিক্রেতা সভায়ও অংশ নেন দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল এবং সরকারি আধিকারিকরা। করিমগঞ্জ থেকে সভায় একাধিক অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এই প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (নর্থ-ইস্ট চাপ্টার) গঠন করা হয়েছে। গুয়াহাটিতে এর মুখ্য কার্যালয় থাকবে।
দুই দেশের বিশিষ্টদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন আলোচনার পর কমিটি গঠনের পক্ষে মত প্রকাশ করেন প্রত্যেকে। এতে বৈদেশিক বাণিজ্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে আরো গতি পাবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
নতুন কমিটির সভাপতি হয়েছেন আমিনুর রশিদ চৌধুরী। দুইজন উপসভাপতি হচ্ছেন ড. সৌমেন ভারতীয়া, ডলি খংলা। সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে অমরেশ রায়কে।
কমিটিতে আরও চারজন রয়েছেন। তারা হলেন–ধৃষ্টি মেধি, রাজেশ মজুমদার, আহমেদ হোসেন, আটোয়ার রহমান।
অমরেশ রায় গুয়াহাটি থেকে বলেছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য আরো ত্বরান্বিত করা এবং সাংস্কৃতিক আদান প্রদান করার উদ্দেশ্যেই ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (নর্থ-ইস্ট চাপ্টার) গঠন করা হয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কেউ যদি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান, কিংবা বাংলাদেশের কেউ যদি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে সেটা কমিটির মাধ্যমে তদারকি করা হবে। বাণিজ্য বাড়াতে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সরকারের সঙ্গে আদান প্রদান করা হবে। এতে ভালো ফল মিলবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।