জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২১ অক্টোবর : লাইসেন্স না থাকার কারণে করিমগঞ্জ পূর্ব বাজারের একটি আতশবাজির পাইকারি দোকান বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক রিন্টু বড়ো পূর্ব বাজারের রামকৃষ্ণ পোদ্দারের দোকানে গেলে লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন মালিকপক্ষ। তখন দোকানটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক।
‘গণ আওয়াজ’কে এডিসি বলেছেন, রামকৃষ্ণ পোদ্দারের দোকানে গেলে লাইসেন্স চাওয়া হলে তারা দেখাতে পারেননি। ফলে দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া আতশবাজির প্যাকেটও সেখানে পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। তারিখের উপরে অন্য কাগজ লাগানো ছিল বলে ধরা পড়েছে অতিরিক্ত জেলাশাসকের কাছে।
অন্যদিকে, শনিবার বেলা বারোটার মধ্যে আতসবাজি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
করিমগঞ্জ শহরে অনেকগুলি আতশবাজির দোকান রয়েছে। পাইকারি এবং খুচরা দোকানদাররা পসরা সাজিয়ে সেগুলি বিক্রি করছেন। কিন্তু অধিকাংশ দোকানদারদের লাইসেন্স নেই।
অবৈধভাবে তাঁরা আতশবাজি বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখতে করিমগঞ্জ দমকল বিভাগকে নির্দেশ দেন জেলাশাসক মৃদুল যাদব।
সেই অনুযায়ী শুক্রবার শহরের মোট ২৭ টি আতশবাজির দোকানে আচমকা অভিযান চালান দমকল বিভাগের আধিকারিকরা।
বিভাগের ইনচার্জ সুরোজ খানিকরের নেতৃত্বে চার আধিকারিক আতশবাজির পাইকারি এবং খুচরো দোকানে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন।
কিন্তু মাত্র পাঁচটি দোকানের কাগজপত্র ঠিকঠাক পাওয়া গেছে। বাকি সব দোকান সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আতশবাজি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দমকল বিভাগের নিয়ম না মেনে এগুলো চলছে।
সুরোজ খানিকর বলেছেন, পাইকারি আতশবাজির দোকানে ফায়ার এক্সটিংগুইশার এবং জল, বালুর ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। খুচরো দোকানে দুই বালতি বালি, জলের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
যেসব ব্যবসায়ীদের আতশবাজির গোদাম বাড়িতে রয়েছে, তাদের অন্যত্র গোদাম নিতে বলা হয়েছে। শনিবার বেলা বারোটার মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। নিয়ম না মানলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে নেওয়া হবে।
জেলাশাসক মৃদুল যাদব বলেছেন, এখন পর্যন্ত মোট ৪৩ টি আতশবাজি দোকানের পক্ষ থেকে অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাদের সবকিছু ঠিকঠাক পাওয়া যাবে তাদের বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে, অতিরিক্ত জেলাশাসক রিন্টু বড়ো বলেছেন, জনগণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি দোকানে আচমকা অভিযান চালানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তখন লাইসেন্স পাওয়া যায়নি জনৈক রামকৃষ্ণ পোদ্দারের দোকানে। ফলে দোকানটি বন্ধ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে দোকানের বর্তমান পরিচালক রূপক পোদ্দারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।