শিলচর, ২৯ অক্টোবর : মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ খাসি জয়ন্তিয়া গারো পিপলস ফেডারেশনের মিছিল চলাকালীন বাঙালি সহ অ-উপজাতি পথচারীদের উপর হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেক।
কিন্তু মেঘলয় পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়।
গত চল্লিশ বছর ধরে সম্পুর্ন বিনা কারণে এভাবে অত্যাচারিত হচ্ছেন বাঙালি সহ সমস্ত অ-উপজাতিরা, অথচ আজ পর্যন্ত একজনকেও শাস্তি দেওয়া হয়নি।
তাই এসবের ঘটনার পেছনে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পরোক্ষ মদত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেন বিডিএফ যুব ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত।
তিনি বলেন খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মেঘালয়ে প্রায়ই পোস্টার লাগানো হয় “আমরা জন্মসূত্রে খাসি, দুর্ঘটনাবশত ভারতীয়”।
একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের নেতা মন্ত্রীরা এসব অসাংবিধানিক কীর্তি দেখেও চুপ থাকেন। কল্পার্ণব বলেন, এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের কি হতে পারে ?
তিনি বলেন, দেশভাগের শিকার হয়ে ছিন্নমুল বাঙালি হিন্দুরা মেঘালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন, এবং জন্মলগ্ন থেকে রাজ্যের উন্নয়নে তাঁদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
কিন্তু শান্তিপ্রিয় এই গোষ্ঠীর উপর ১৯৭৯ সাল থেকে বার বার অত্যাচারের খাড়া নেমে এসেছে, যার ফলে অধিকাংশই মেঘালয় ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তাঁদেরকে দ্বিতীয়বার উদ্বাস্তু হতে হয়েছে। যারা জীবন জীবিকার খাতিরে এখনো টিকে আছেন, তাদেরকে সম্পুর্ন বিনা কারণে নিগৃহীত হতে হচ্ছে।
বিডিএফ যুব ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন এসব আর বরদাস্ত করা সম্ভব নয়, ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে।
যুব ফ্রন্টের অপর আহ্বায়ক দেবায়ন বরাকের খাসি পুঞ্জি প্রসঙ্গে বলেন, বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় যুগ যুগ ধরে খাসি উপজাতির লোকেরা শান্তিতে বসবাস করছেন।
তাদের সাথে জাতিগত বৈরিতার কোন ঘটনার উদাহরণ নেই, কারণ বাঙালিরা সমন্বয়ে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, আমরা সর্বদাই চাই তাঁদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। কিন্তু এইধরনের ঘটনায় বরাকে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
আগামীতে আবার এই ধরনের বাঙালি নিগ্রহের ঘটনা ঘটলে এঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেন দেবায়ন। যদি এরকম কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয় তবে দায়ভার সরকার এবং তাদেরকে নিতে হবে, যারা শান্তিপ্রিয় বরাকের বাঙ্গালিদের ক্ষোব্ধ করে তুলছে বলে হুঁশিয়ারি দেন দেবায়ন।