শুভ দাস, ৩০ অক্টোবর : সিলেটি ভাষাকে বাংলা ভাষার আঞ্চলিক রূপ হিসেবে ধারনা করা হলেও আসলে এটি একটি স্বতন্ত্র ভাষা।
বাংলাভাষার মূল রীতির সাথে যথেষ্ঠ পার্থক্য থাকা সিলেটি ভাষা বাংলাভাষা থেকে কিছুটা আলাদা এবং প্রাচীন স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা।
কলকাতার যাদবপুরের ইন্দুমতি সভাগৃহে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সিলেটি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বিজয়া সম্মেলনl নাচ গান আবৃত্তি ধামাইলে ভরপুর ছিল এই গোটা অনুষ্ঠানl
সিলেটি সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে মাথায় রেখেই আয়োজন করা হয়েছিল গোটা অনুষ্ঠানl অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা মেনেই শুরু হয় এদিনের অনুষ্ঠান।
স্বাগত ভাষন দেন সাধারন সম্পাদক তিলক দেব পুরকায়স্থ, সিঁদুর খেলার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন রিতা চক্রবর্তী, গায়ত্রী নন্দী মজুমদার এবং তার দল, মিলি গোস্বামী, ইষিতা ব্যনার্জী, অরিত্রিকা রায়, সৌরভ চক্রবর্তী, রিতা চক্রবর্তী, প্রিয়া ভট্টাচার্য।
একটি অসাধারণ শিব স্তুতি নৃত্যানুষ্ঠানের উপহার দেন প্রিসা ভট্টাচার্য।
এছাড়াও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রাগনা চ্যাটার্জি, আরহি দত্ত চৌধুরী, সায়ন্তনী ভট্টাচার্য, বিদ্যাঙ্গী এবং চন্দ্রীমা দাস।
এদিন কঁচিকাচাদের নিয়ে একটি অসাধারণ ফ্যাশন শো প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ছিলেন ফাল্গুনী পুরকায়স্থ ও বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক শর্মিষ্ঠা দেব, প্রিয়া ভট্টাচার্য প্রমুখ।
আন্তরিকতায় ভরন পোষণে দর্শকরা এদিনের অনুষ্ঠান অন্তর থেকে উপভোগ করেছেন। সব সিলেটিদের কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরাই এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য।
আগামী ৮ই জানুয়ারি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি চুড়ুইভাতির আয়োজন করা হয়েছে। অসাধারণ একটি ধামাইল নাচের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় এবং প্রত্যেকে মিষ্টি মুখ ও করানো হয়।
গোটা অনুষ্ঠানের সাফল্যের রুপ দিতে যাদের নিরলস পরিশ্রমে গত দু-তিন মাস থেকে তিলে তিলে অনুষ্ঠানটিকে সাজিয়েছেন তারা হলেন রজত গুপ্ত, শান্তনু রায়, বাণীব্রত দাস, বিশ্বপ্রতীম রায়, মিলি দেব, শুভ্রজিৎ পুরকায়স্থ, সৌম্যদীপ চৌধুরী, ইন্দ্রজিৎ দত্ত চৌধুরী, তিলক দেব রায়, প্রীতম দাস, সুমান্ত দত্ত, রিত্তিকা দত্ত, প্রবাল ভট্টাচার্য।