কাঠমান্ডু, ১৬ জানুয়ারি : রবিবার নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে পাঁচজন ভারতের নাগরিক এবং চারজন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার বাসিন্দা।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নিহত যুবকরা ১২ জানুয়ারি একসঙ্গে বারাণসী থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডর উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
দুর্ঘটনার আগের একটি ভিডিওও সামনে এসেছে। দুর্ঘটনার সময় ফেসবুকে লাইভে ছিলেন গাজিপুরের সোনু জয়সওয়াল।
প্রথমে তারা প্লেনের ভেতরের ও বাইরের দৃশ্য দেখান। এ সময় বিমানের সব যাত্রীই খুশি ছিলেন। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পর বিমানটি বাতাসে ডুব দিতে শুরু করে।
হঠাৎ আগুনের শিখা দেখা দেয় এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় চিৎকারের শব্দও আসে।
গাজিপুর জেলার চকজাইনাব গ্রামের বাসিন্দা সোনু জয়সওয়াল (২৮), চকদারিয়া চকজাইনাবের বাসিন্দা অনিল রাজভর (২৮), আলাওয়ালপুর আফগানের বাসিন্দা বিশাল শর্মা (২৩) এবং ধারওয়ান গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক সিং কুশওয়াহা (২৩) বন্ধু ছিলেন।
১২ জানুয়ারী, অনিল রাজভার, বিশাল শর্মা এবং অভিষেক সিং কুশওয়াহা একসাথে বারাণসীর সারনাথে পৌঁছেছিলেন।
সেখান থেকে জয়সওয়ালের সঙ্গে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা হন সোনু। চারজন কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার জন্য একটি ফ্লাইট ছড়েন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
বিকেল ৫টার দিকে বেরেসার থানায় চার যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দরজায় ভিড় জমেছে গ্রামবাসীর। গ্রামের লোকজন পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে ব্যস্ত। আর এই যুবকদের নিয়ে পাশের গ্রামে শোকের পরিবেশ ছিল।