সিংলা নদীর বাধঁ নির্মানে গাইড লাইন উপেক্ষা? নিম্নমানের ইটের টুকরো বিছিয়ে সম্পন্ন ৫০ শতাংশ কাজ, নেই তথ‍্য ফলক!

Spread the love

সুপ্রিয় পাল, দুল্লভছড়া, ১৬জানুয়ারী : দুনীর্তি দমনের অঙ্গীকার করে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার।

 জনগণ এই প্রতিশ্রুতিতে কংগ্রেসকে উৎখ্যাত করে বিজেপিকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছিলেন, বিশেষ করে রাতাবাড়ি বিধান সভার বিধায়কের পদটি দুনীর্তি দমনের অঙ্গীকার হিসাবে উপহার দেওয়া হয়েছে।

এখানে কাজের বরাদ্দ প্রাপ্ত টিকাদার কিংবা বিভাগীর আধিকারিকদের ভূমিকা নেই। কিন্তু সেই ভোটারদের বতর্মানে অগ্নি পরিক্ষা দিতে হচ্ছে। শাসক দলের স্বচ্ছতার ভাবমূর্তি নিয়ে অনেকেই ক্ষোভে ফূসছেন।

আগামী নির্বাচনে তার বহিপ্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা।

দুল্লভছড়া পাশ্ববর্তী চামটিলা গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়া সিংলা নদীর জল প্রবাহে নদীর পাড় ভাঙ্গনে অনেকের বসতবাড়ি, মন্দির সহ নিভিয়া মুখী প্রদান সড়ক নদীতে তালিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে ভোগছেন।

এলাকার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সিংলা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে বিধায়ক বিজয় মালাকারের প্রচেষ্টায় কয়েকটি স্থানের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। যে অর্থে চামটিলায় একটি বাঁধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জৈনেক ঠিকাদার।

কিন্তু এই কাজে ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। তথ্য ফলক ছাড়াই স্থানীয়দের অন্ধকারে রেখে অতি নিম্নমানের ইটের গুড়ো ব্যবহার করে ৩৭৫ মিটার বাদের ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

বাঁধের এই নিম্নমানের কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দুর্নীতি দমনের অঙ্গীকার কি তাহলে বিজেপি সরকারের প্রতারণা ছিল?

এত নিম্নমানের কাজ হলে সিংলা নদীর গুলায় চামটিলার বাসিন্দাদের গৃহহারা হওয়াটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।  কাজের গুণগত মান নিয়ে বিভাগীয় আধিকারিক, স্থানীয় বিধায়ক এবং সরকার কেউই জনগণের সন্দেহের বাহিরে নয়।

এদিকে এই নিম্নমানের কাজের কারন জানার জন্য বিভাগীয় আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তা সম্ভব হয়নি। তবে টিকাদারের লোকেরা সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।

কাজের তথ্যফলক না লাগিয়ে গাইডলাইন সম্পর্কে জনগণকে অন্ধকারে রেখে নিম্নমানের ইটের গুড়ো দিয়ে তরিঘড়ী কাজ সম্পন্ন করতে চাইছেন বিভাগীয় আধিকারিকরা সহ ঠিকাদার।

এলাকার জনগণ এই প্রতিবেদককে ক্ষোভের সুরে বলেন, সিংলা নদীর এই ভাঙ্গন রোধে কয়েক বছর পর সরকারিভাবে অর্থ বরাদ্দ হলেও কোন সময়ই বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার জনগণকে অবগত করার প্রয়োজন মনে করেননি।

রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রতিবছরই এভাবে নিম্নমানের কাজ করে পুরো টাকা পকেটস্থ করা হয়, যার ফলস্বরুপ সিংলা নদীর গোলার মাসুল নিজের বসতবাড়ি, জমি হারিয়ে দিতে হয় বাসিন্দাদের।

তাই এবার জনগণ সচেতন, সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ করার দাবি জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে উক্ত কাজের তদন্তের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, করিমগঞ্জ জেলা উপায়ুক্ত, রাতাবাড়ি বিজয় মালাকার সহ করিমগঞ্জ সাংসদ কৃপানাথ মালার কাছে দাবি জানিয়েছেন।

অন্যতায় এলাকাবাসীরা আরও আর ও বড় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়ে দেন, এমনকি আইনের আশ্রয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

Gana Awaz Desk

Avatar

create token < a href="https://capablemachining.com/">china cnc milling bep20 token create a usdc token create crypto token create a bep20 token create a token ethereum token stripe token create bnb token create token create a token token mint mint club token