ত্রিপুরায় ১৬, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহন, ফলাফল ২ মার্চ
নয়াদিল্লী, ১৮ জানুয়ারি : বুধবার উত্তর-পূর্বের তিনটি রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের নির্বাচনের সময়সূচী ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।
ত্রিপুরায় ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট নেওয়া হবে। তিনটি রাজ্যের ভোট গণনা ২মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি রাজ্যেই ৬০ টি করে বিধানসভা আসন রয়েছে, তাই একক ধাপে নির্বাচন হবে।
নাগাল্যান্ডে, রাজ্যের পূর্ব প্রান্তে পৃথক রাজ্যের ইস্যুতে বয়কটের আহ্বান এবং নাগা সমস্যার সমাধানের আহ্বানের মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
মেঘালয়ে চলছে ব্যাপক দলত্যাগ, এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জন বিধায়ক তাদের দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন আবহাওয়া, পরিস্থিতি, নিরাপত্তার দিক সহ অন্যান্য রাজ্যে নির্বাচনের সময়সূচী বিবেচনা করে সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত করা হবে।
উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার রয়েছে এবং নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে জুনিয়র অংশীদার হিসাবে রয়েছে বিজেপি।
মেঘালয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ২১ আসন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হিসাবে আত্বপ্রকাশ করেছিল, কিন্তু বিধায়কদের দলত্যাগে বিধানসভায় শূন্যে নামিয়ে দিয়েছে।
তবে আম আদমি পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান এই অঞ্চলের রাজনীতিকে বহুমুখী করে তুলেছে।
বিশেষ করে ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পরে তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাকে দলে টেনে বিশিষ্ট রাজনৈতিক মুখগুলিকে আকৃষ্ট করেছে।
১৭ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১২ জন দলত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করায় বিধানসভায় এই দল প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা আদায় করে নেয়।
দলবদলের আনুগত্য বিজেপিকেও প্রভাবিত করেছে। বিজেপি ত্রিপুরায় দুর্বল অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। কারণ দলের সাতজন বিধায়ক সহ তার সহযোগীরা অন্যান্য দলে যোগ দিয়েছেন।
যদিও বিজেপি মধ্যবর্তী মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে সরিয়ে নতুন মুখ হিসাবে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করে দলের শক্তি বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তা কতটুকু সফল হবে সময়ই বলবে।
এদিকে নাগাল্যান্ডে বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই রাজ্যের পূর্ব দিকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে ভোট বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে। এরমধ্যে নাগা সমস্যা সমাধানের দাবিও জোরদার হয়ে ওঠেছে।
ডিসেম্বরে, ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন পৃথক রাজ্যের দাবিতে হর্নবিল ফেস্টিভ্যাল বয়কট করেছে এবং ঘোষণা করে তারা রাজ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।
সংগঠনটি রাজ্যের পূর্ব অংশ থেকে খোদাই করে ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্ড নামে একটি পৃথক রাজ্যের দাবি করছে।
এতে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় চারটি জেলা বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত হওয়ায় পৃথক রাজ্য প্রয়োজন।
এই মাসের শুরুতে এনএসসিএন (আইএম) এবং নাগা ন্যাশনেল পলিটিক্যাল গ্রুপস (এনএনপিজিএস) ভারত সরকারের সাথে নাগা রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য সহযোগিতা করার নিঃশর্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।