জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ১১ নভেম্বর : করিমগঞ্জ শহর যেন অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার সন্ধ্যা রাতেই এক বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হানা দিল দুই দুষ্কৃতী।
সন্ধ্যা রাতে এক বাড়িতে হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় দুই দুষ্কৃতকারীর প্রবেশ ঘিরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বাড়ির মহিলার জোর চিৎকারে পালিয়ে গেছে অজ্ঞাত পরিচয় দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষীবাজার রোডের তিনকোণা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায়।
ঘটনার প্রায় ত্রিশ মিনিট পর ছুটে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে দুষ্কৃতীর ফেলে যাওয়া একটি ধারালো অস্ত্র এবং বস্তা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
টিএসআই সামসুল হক ‘গণ আওয়াজ’কে বলেছেন, দুষ্কৃতকারীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। তবে দুষ্কৃতকারীরা ড্রাগস আসক্ত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো ঠাকুরের সন্ধ্যা আরতির পর দরজা লাগানোর সময় সামনে মুখ ঢাকা অবস্থায় দুই যুবককে দেখতে পান বীনা দাস।
তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তখন ঘরে পুরুষ সদস্য কেউ ছিলেন না। ঘটনার সময় বীণা দাস এবং তার অশীতিপর বৃদ্ধা শাশুড়ি ঘরে ছিলেন।
অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবককে দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। যুবকরা তার গলা চেপে ধরে ঠেলে ভিতর নিয়ে যায়।
তখন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন বীনাদেবী। উপায় না পেয়ে ধারালো অস্ত্র এবং বস্তা ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।
বীনা দেবী ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই যুবকের বয়স আনুমানিক ২৫/২৬ বছর হবে।
তাদের মুখ ঢাকা ছিল। চোর চোর বলে চিৎকার শুরু করলে দুই যুবক সামনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে, ঘটনার প্রায় ৩০ মিনিট পর আসে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্ত করে ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো অস্ত্র এবং বস্তা জব্দ করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
টিএসআই সামসুল হক বলেছেন, ঘটনার কথা প্রায় আধা ঘন্টা পর জানানো হয় পুলিশকে।
তবে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই বাড়িতে পুলিশ ছুটে যায়। ড্রাগস আসক্ত যুবকরা এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।
অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানান টিএসআই।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর ব্রজেন্দ্র রোডে (পুরসভা কমপ্লেক্সের পাশে) দিনদুপুরে এক আইনজীবী দম্পত্তির ঘরে হানা দিয়ে আলমিরা ভেঙে চাবি নিয়ে পৃথক আরেকটি আলমিরা থেকে স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় চোর।
পুলিশ ওই ঘটনারও এখন পর্যন্ত কোনো কিনারা করতে পারেনি। শহরে অপরাধীদের বারবারন্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে জনগণের মধ্যে। পুলিশকে আরো সচেষ্ট হতে এবং টহল বাড়াতে আর্জি জানিয়েছেন শহরের জনগণ। পুলিশ সচেষ্ট থাকলে অপরাধী নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে বলেছেন ভুক্তভোগী জনগণ।