উন্নয়নমুলক কাজকর্মে শীর্ষে রয়েছে নিয়াইরগ্রাম বাগপুর : মাহমুদ
ফয়জুর রহমান লস্কর, সোনাই২৫ নভেম্বর : শিলচর ব্লকের আওতায় সোনাইর একমাত্র নিয়াইরগ্রাম বাগপুর জিপিতে তুলনামুলক ভাবে অন্যান্য জিপি থেকে উন্নয়নমুলক কাজকর্ম সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে দাবি করেছেন সভানেত্রী রুস্তানা বেগম লস্করের প্রতিনিধি মাহমদ হোসেন লস্কর।
নিয়াইরগ্রাম দ্বিতীয় খণ্ডে ৬৬৭ নং নজির আলি এলপি স্কুলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় নব নির্মিত শৌচাগারের উদ্ধোধন করে একথা দাবি করেছেন তিনি।
জিপি সভানেত্রী রুস্তানা বেগম লস্কর ও পঞ্চায়েত পরিবারের সদস্যেদেরকে পাশে বসিয়ে মাহমুদ হোসেন লস্কর এদিন সাংবাদিকদের কাছে সভানেত্রী রুস্তানা বেগম লস্করের উন্নয়নমুলক পিএমএওয়াই, এমজিএনরেগা, সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
তথ্য ভিত্তিক কাজকর্মের বয়ান তুলে ধরে জানান, পুরাতন ও কাঁচা ঘর মিলে জিপিতে সর্বমোট ৩৩১ পিএম এ ওয়াই ঘরের কাজ শেষের পথে। এর মধ্যে পুরাতন ঘর ৫১ টি, কাঁচা ছিল ২৮৯টি।
ঘরগুলো নির্মান ৭৫ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। এম জিএনরেগা প্রকল্পের আওতায় ২০১৬- ২০২২ পর্য্যন্ত প্রায় ৭ কোটি টাকার কাজ হয়েছে।
এর মধ্যে এম আই বাঁধ, ল্যণ্ড ভেভলাপমেণ্ট,ফিসারি, রাস্তা, ওয়াটার ট্যাঙ্ক,ইত্যাদি।চতুর্দশ ও পঞ্চদশ অর্থকমিশনের আওতায় ৫৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে সিসি ব্লক বসিয়ে ১৮ টি রাস্তা নির্মান করা হয়েছে।
২৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৪১ টি টারা পাম্প, ৩১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে ১১ কবরস্থানের সীমানা দেওয়াল।
জিপি অফিসের সীমানা দেওয়াল নির্মানে ব্যয় হয়েছে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা,একটি মন্দিরের সীমানা দেওয়াল নির্মানে ৩ লক্ষ ১০ হাজার,একটি স্কুলের সীমানা দেওয়াল নির্মানে ২ লক্ষ ৫০ হাজার,ও দুইটি মসজিদের সীমানা দেওয়াল নির্মানে ৭ লক্ষের মত অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
৪ টি আর সি সি ড্রেন নির্মানে ৭ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, একটি ইদগাহ মাঠ সংস্কারে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার, ৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে২১ টি সোলার লাইট বসানো হয়েছে।
এছাড়া আগামীতে ৫ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা রিনভেশন্যাল ওয়ার্ক শুরু হবে জিপি এলাকায়। ৬৬৭ নং নজির আলি এল পি স্কুলে ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শোচাগারের উদ্ধোধন করা হয়েছে। কয়েকদিনের ভেতরে নিয়াইরগ্রাম এমই স্কুলের কাজ চলছে।
আগামী পনেরো দিনের ভেতরে শৌচাগারটির উদ্ধোধন করা হবে।তিনি জানান, এভাবে নিয়াইরগ্রাম বাগপুর জিপিতে উন্নয়নমুলক কাজকর্ম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। কাজকর্মগুলো স্বচ্ছ সুষ্ট সুন্দরভাবে সভানেত্রী ও পঞ্চায়েত পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় চলছে।
আগামী বছরের ভেতরে বাদবাকি কাজগুলো নির্বিঘ্নে করে যাবো। তিনি এও বলেন এলাকার জনগন জিপি সভানেত্রী সহ পঞ্চায়েত পরিবারের উপর আস্থাশীল থাকায় সবার সহযোগিতা আমরা পেয়েছি।
পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জিপির তুলনায় এবার জিপিতে কাজের জোয়ার চলছে। এজন্য শিলচর ডেভলাপমেন্ট ব্লকের খণ্ড আধিকারিক সরোজ দাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মাহমুূদ।
বিগত দিনে এমজিএনরেগা কাজের অভিযোগের উত্তরে তিনি জানান তা একেবারে ভিত্তিহীন। এমজিএনরেগা কাজে সরকার অনুমোদন দিলে তা সরকারি গাইড লাইন মত হয়।সব প্রকল্পের কাজ তার গাইড লাইন মত চলে।
একটি স্বার্থান্বেষী মহল জিপি এলাকায় কাজের গতি দেখে বিষ্মিত। তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে সভানেত্রীর নামে বদনাম রটাতে সক্রিয় রয়েছে। এই স্বার্থান্বেষী মহলের আসল পাণ্ডা নিজে একজন সরকারি কর্মী ও জিপির সাবেক এপি সদস্যার প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন।
সহ সভাপতি বাহারুল ইসলাম জিপি সভানেত্রী কাজকর্মের ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন সততা স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করায় জিপির সর্বস্তরের জনগনের সহযোগিতা পেয়ে আসছি।গ্রুপ সদস্য সবাই আমরা সভানেত্রী পাশে রয়েছি, থাকবো। বিজেপি দলের সভানেত্রী হিসাবে বর্তমান বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভুইয়ার তেমন সহযোগিতা মিলছে না বলে ও অভিযোগ তাদের।