পাথারকান্দি, ২৫ অক্টোবর : করিমগঞ্জ জেলার পাথরকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় বিগত কয়েকদিন থেকে বন্য হাতির দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় জনসাধারণ জানিয়েছেন চারটি হাতি ফসলি জমি ও ধানক্ষেত মাড়িয়েছে সঙ্গে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় জনসাধারণ গণ আওয়াজকে জানান, এলাকায় হাতির দলের তাণ্ডব এই প্রথমবার নয়, তার আগেও বন্য হাতিরা এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে জনসাধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি বহুবার কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সেই সময় দলে নয়টি হাতি ছিল। এর মধ্যে পাঁচটি গত কয়েক বছরে মারা গেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
বন্যহাতির দল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সেফেনজুরির পাহাড়ি এলাকায় থাকে এবং প্রায়ই খাবারের সন্ধানে আবাসিক এলাকায় তাণ্ডব চালায়।
তারা এই বন্য হাতি গুলোকে ধরে জাতীয় উদ্যান বা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মতো সংরক্ষিত জায়গায় পাঠানোর দাবি জানিয়ে আসছেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গত সপ্তাহে হাতির দলের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থরা পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পলকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং জেলা বনবিভাগের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এর পরে পাথরকান্দি বন রেঞ্জার মনোজ কুমার দাস বন কর্মকর্তাদের একটি দলকে নিয়ে হাতিখিরা সফর করেন।
বন কর্মকর্তারা গত কয়েক সপ্তাহে বন্য হাতির দল যাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাদের ক্ষতির পরিমান অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে জানাগেছে।
পাথরকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পল মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে তিনি বন বিভাগের সাথে কথা বলবেন এবং স্থায়ীভাবে সমস্যাটির সমাধান করতে কী করা যেতে পারে তা খতিয়ে দেখবেন।
শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লাবৈদ্য।
উল্লেখ্য, গত মাসে পাথরকান্দির মেদলী চা বাগানে বুনো হাতির ধাক্কায় ৫৮ বছর বয়সী শত্রুঘ্ন বাল্মীকদাস নিহত হন।
এছাড়া গত চার-পাঁচ বছরে পাথরকান্দির বিভিন্ন এলাকায় হাতির আক্রমণে গরু, ছাগলসহ আরও অনেক মানুষ ও পোষা প্রাণী মারা গেছে। জাম্বোদের দ্বারা বারবার তৎপরতা সত্ত্বেও, কর্তৃপক্ষ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান পেতে সফল হয়নি। বন বিভাগ অতীতে জাম্বোদের তাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনটিই কার্যকর হয়নি।