আইজল, ২৮ নভেম্বর : বাংলাদেশী কুকি-চিন শরণার্থীর সংখ্যা মিজোরামে বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা ৩০০-র বেশি দাঁড়িয়েছে। উত্তর-পূর্ব এই রাজ্যে আরও শরণার্থী ঢোকা অব্যাহত রয়েছে৷
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে সহিংসতার শিকার হয়ে কুকি-চিন শরণার্থীরা আত্মরক্ষার্থে মিজোরামের পারভা গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশী কুকি-চিন শরণার্থীদের স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) খাদ্য, পোশাক এবং অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করছে।
শরণার্থীদের মিজোরামের পারভা গ্রামে একটি স্কুল, একটি কমিউনিটি হল, একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং একটি উপকেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে আত্ম রক্ষার্থে কুকি-চিন-র শরণার্থীদের প্রথম দলটি ২০ নভেম্বর মিজোরামের লংটলাই জেলায় প্রবেশ করেছিল।
এর আগে মিজোরামের ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াইএমএ) বা কেন্দ্রীয় ওয়াইএমএর কেন্দ্রীয় কমিটি বলেছিল যে বাংলাদেশ থেকে আসা কুকি-চিন শরণার্থীদের তারা মানবিক সহায়তা দেবে।
মিজোরাম মন্ত্রিসভা বাংলাদেশি নাগরিকদের অস্থায়ী আশ্রয়, খাবার এবং অন্যান্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশী নাগরিকরা ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের পর আত্ম রক্ষা করতে বাড়িঘর ছেড়ে মিজোরামে প্রবেশ করে।
কেএনএ হল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এমএনএফ-এর সশস্ত্র শাখা। এই সংগঠন হচ্ছে একটি জাতিগত সংস্থা যা বাংলাদেশে মিজো সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা রাষ্ট্র এবং সুরক্ষা দাবি করে আসছে।
মিজোরাম এবং বাংলাদেশের মধ্যে ৩১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমা রয়েছে। বাংলাদেশের কুকি-চিন সম্প্রদায়ের লোকজন মিজোরামের মিজোদের সাথে জাতিগত সম্পর্ক এবং উত্স ভাগ করে।
তাদের মধ্যে অনেকেরই আত্মীয়তা রয়েছে।
মিজোরামে সমস্ত জাতিগত জো মানুষ একটি ‘মিজো’ নামকরণের সাথে পরিচিত। মায়ানমারে তারা ‘চিন’ বা জোমি বা লাইমি নামে পরিচিত এবং মণিপুরে তারা কখনও কখনও ‘কুকি’ নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ থেকে কুকি-চিন শরণার্থীরা এমন সময় সময়ে এসেছে যখন মিয়ানমারের প্রায় ৩০,০০০ শরণার্থীর ভার সাম্লাচ্ছে।