জুলি দাস
করিমগঞ্জ, ২৮ নভেম্বর : বহু প্রতীক্ষিত প্রস্তাবিত করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে করিমগঞ্জ মেডিক্যাল দাবি বাস্তবায়ন সমিতি মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার উদ্দেশ্যে একটি স্মারকপত্র প্রদান করেছে। করিমগঞ্জ সফরে আসা মন্ত্রী অশোক সিংহলের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকপত্র দেওয়া হয়।
গত বছরের ৬ আগস্ট স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সচিব মোট ৫টি জেলার জেলাশাসককে জেলা সদরের হাসপাতাল থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ১৫০ বিঘা জমি নির্ধারন করার নির্দেশ দেন।
সেই মর্মে করিমগঞ্জের তৎকালীন জেলাশাসক জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সুপ্রাকান্দি, ওমরপুর করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের স্থান নির্ধারণ করে পাঠান।
গত ১২ অক্টোবর আইনজীবী হিফজুর রহমান চৌধুরীর আরটিআইর জবাবে বিভাগীয় আন্ডার সেক্রেটারি জানিয়েছিলেন করিমগঞ্জের জেলাশাসক জায়গা নির্ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে ডিপিআর তৈরী করে মেডিক্যাল কলেজের কাজ শীঘ্রই শুরু করবেন।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের গাইডলাইন অনুযায়ী স্থান নির্ধারণ হওয়া সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত মেডিক্যাল কলেজের কাজ অধরা।
স্বাস্থ্য পরিষেবার উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছানোর আগেই অনেক মূল্যবান প্রাণ অকাল রাস্তায় চলে যায়।
তাই করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের স্থান নির্ধারণ গাইড লাইন মেনে করলে জেলার জনগণ উপকৃত হবেন বলে দাবি করেছেন কমিটির কর্মকর্তারা।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করিমগঞ্জ রেলস্টেশনে বিশাল জায়গা থাকা অবস্থায় কিছু নেতাদের দুরদৃষ্টির অভাবে করিমগঞ্জবাসী প্রকৃত রেলসেবা থেকে বঞ্চিত।
কারণ নিউ করিমগঞ্জে দূরপাল্লার ট্রেন মাত্র ২ মিনিট থামে। এমতাবস্থায় বেশীর ভাগ যাত্রীকে মালপত্র নিয়ে বদরপুর স্টেশনে পারি দিতে হয়।
এবার করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে যাতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। এদিন করিমগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক কল্লোল মোহন্ত, তারাকিশোর বনিক, নির্মল সরকার, রাজা বনিক, ঝুমা দাস প্রমুখ।