বরাক এগুচ্ছে কেন্দ্র শাসিত রাজ্যের দিকে
শিলচর, ৩০ নভেম্বর : আসামে ক্রমশ বিভাজনের আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। গারো স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিলের দাবি নিয়ে পথে নেমেছে ইউনাইটেড গারো অটোনমাস কাউন্সিল মুভমেন্ট কমিটি (ইউজিএসিএমসি)।
কারবিআংলংও আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। এদিকে বরাক উপত্যকায়ও দীর্ঘ বছর থেকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অসমিয়া জাতীয়তাবাদের বৈষম্যর অভিযোগে ধিকি ধিকি করে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে।
তবে দ্বিমতের কারণে বরাক উপত্যকায় এই আন্দোলন এখনও গতি পায়নি। কারণ উপত্যকার মানুষের একটি অংশ চাইছে স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ এবং অপর অংশের দাবী কেন্দ্রীয় স্বাশিত রাজ্য।
এই দ্বিধা থেকে যখন বরাকের মানুষ বেরিয়ে এসে এক হবে আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠবে। এবং এর মধ্যেই নবগঠিত সংগঠন বিডিএফ এক করার কাজ শুরু করেছে।
গত ১৮ নভেম্বর আসাম সরকারের সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষার প্রকাশিত তালিকায় বরাক উপত্যকার প্রার্থীদের বৈষম্য সহ একাধিক দাবীতে যে বনধের ডাক দেয় সেই বনধে বাঙালি নব নির্মাণ সেনা সহ বেশ কিছু সংগঠন পথে নেমে সমর্থন জানাতে দেখা গেছে।
সংগঠন গুলো পরবর্তী সময়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিল ২৯ নভেম্বর শিলচরে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেটে যদি দাবীগুলো মেনে নেওয়া না হয় তবে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগুবে।
কিন্তু ক্যাবিনেট মিটিং-এর পর মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের ব্যাপারে গুজামিল দিয়ে বনধ আহ্বানকারী সংগঠন গুলোর ঘাড়ে উপত্যকার মেধাবী পরীক্ষার্থীদেরকে অপমান করার দুষ চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
সংগঠন গুলোর দাবীর মধ্যে ছিল, বরাকের চাকরী পরীক্ষার্থীদের নম্বর সহ নামের তালিকা সরকারীভাবে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশ করা।
কিন্তু এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেন নি। এছাড়া মেঘালয় সহ উত্তরপূর্ব রাজ্যে বাঙালি হেনস্থা নিয়েও কিছু বলেন নি।
এদিকে আগামীকাল (১ ডিসেম্বর) সংগঠন গুলো এক সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করেছে। তাই আশাকরা হচ্ছে আগামীকালের সাংবাদিক সম্মেলনে এব্যাপারে বড় কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে আসামের প্রায় ৭ লাখ গারো দীর্ঘদিন থেকে আসামে একটি পৃথক গারো স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ গঠন করার দাবী জানিয়ে আসছে।
সংগঠনটি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে একটি গারো স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান ফোলিন্স সাংমা আসামের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে আসামে গারোদের নিজস্ব একটি স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিল থাকা উচিত বলে দাবী জানিয়েছেন। সংগঠনটি আসামে তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক জাতিগততা, শিক্ষা ইত্যাদির ক্ষেত্রে নিজস্ব ভাগ্য গঠনের জন্য একটি গারো স্বায়ত্তশাসিত পরিষদ গঠন অপরিহার্য বলে দাবী করেছে।