শ্যামল আচার্য, রামকৃষ্ণনগর : দামছড়া ত্রিপুরা পূঞ্জিতে এসেই ক্ষোভে অগ্নিশর্মা রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার। বললেন, ওরা শিব মন্দির জ্বালিয়েছে, এখন শিবের তাণ্ডব নৃত্য দেখবে।
বুধবার কোকড়াঝাড় থেকে নিজ কেন্দ্রে ফিরে সুজা চলে যান, দামছড়া ত্রিপুরা পূঞ্জিতে রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয়।
তিনি মন্দির জ্বালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে বলেন, যারা জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পুলিশ ইতিমধ্যে দুজনকে আটক করেছে, একে একে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
বিধায়ক বলেন, দামছড়া পুঞ্জিতে শত শত বছর ধরে উপজাতি বর্মণ সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন।
কিন্তু কয়েক বছর ধরে ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের জমির অধিকাংশ জবর দখল করে নিয়েছে।
এমনকি সরকারি রেকর্ড মতে দু’শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরের ত্রিশ বিঘা জমির অধিকাংশই জবরদখল করেছে আগ্রাসনকারীরা।
দু’মাস আগে এখান থেকে কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়, কিন্তু এখন আর শুধু উচ্ছেদ নয়, শিবের তাণ্ডব হবে।
আমি মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে বিষয়টি অবগত করেছি, তাঁর নির্দেশেই ডিসি, এসপি ও ডিআইজি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিলেন।
পুলিশ প্রশাসন মন্দিরটি পুনঃ নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা করায় তিনি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।
তবে মন্দির পুনঃ নির্মাণ ও বিগ্রহ স্থাপনের পাশাপাশি শিবের তাণ্ডবও হবে এখানে হুংকার বিজয়ের।
তিনি গণআওয়াজকে জানান, মন্দিরের জমি ছাড়াও বন বিভাগের জমিও অবৈধ দখলমুক্ত করতে সপ্তাহের মধ্যেই বড় ধরনের উচ্ছেদ চালানো হবে।
এবার শুধু বাড়ি-ঘর ভাঙা হবে না, অবৈধভাবে গড়ে তোলা রাবার সহ অন্যান্য বাগানও কেটে পরিস্কার করে সমস্ত জমি উপজাতি মানুষদের হস্তান্তর করা হবে।
বিধায়ক বলেন, কোন মানুষের উপর হামলা হলে তা সহ্য করে নেওয়া যেত, কিন্তু দেবাদিদেব মহাদেব ও নারায়াণের উপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না। বিজয় জানান, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রাতাবাড়ির অন্যান্য অবৈধ দখলদারদের উপরও ছড়িয়ে পড়বে।